• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছে দুই ইউনিয়নের মানুষ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছে দুই ইউনিয়নের মানুষ

  • আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বরগুনা তালতলী উপজেলার তালতলী খালের উপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটি দেবে ভেঙ্গে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ, পর্যটক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে।

জানাগেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগরপাড়া ও সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া বাজারকে কেন্দ্র করে এবং দুই পাড়ের মানুষের চলাচল সহজীকরনের জন্য ১৯৯১-৯২ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ১৫ ল‍াখ টাকা ব্যয়ে ১৩২ ফুট দৈর্ঘ্য এ সংযোগ আয়রন ব্রিজটি নির্মাণ করেন। গত ২০ জানুয়ারী সকালে হঠাৎ ব্রিজের মাঝখান দিয়ে পশ্চিম পাশ দেবে গিয়ে ভেঙ্গে যায়। এতে ব্রিজের দেবে যাওয়া একটি অংশ যে কোন সময় খালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, তালতলী খালের দুই পারে সওদাগরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবিরাজপাড়া নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কারিগরি), হরিনখোলা দাখিল মাদ্রাসা ও কবিরাজপাড়া এইচএম মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রিজ পার হয়ে চলাচল করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা পর্যটন এলাকা গৌয়ামতলা, ইকোপার্ক, শুভসন্ধ্যা সমূদ্র সৈকতে যেতে এ ব্রিজটি পার হয়ে আসতে যেতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রিজটি পারাপার হওয়ায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা।

সওদাগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবিরাজপাড়া নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কারিগরি) শিক্ষার্থী সবুজ, জুলেখা, রাইমা, সজীব, সুরাইয়া বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন আমাদের স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। দেবে যাওয়া ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে এখন আমরা ভয়ে ভয়ে স্কুল ও মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করি। কখন জানি দূর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা জানান, ব্রিজটি দেবে ভেঙ্গে পড়ায় আমরা কৃষি পণ্য নিয়ে সময়মত বাজারে আসতে ও যেতে পারি না। আমাদের বিকল্প পথে ১০/১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে তালতলী উপজেলা সদর হয়ে আসতে যেতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বেশি হচ্ছে।

সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী মুঠোফোনে বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী জানান, ব্রিজটি দেবে ভেঙে পড়ার খবর শুনে তা পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশাকরি দ্রুত এখানে একটি নতুন আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করতে পারবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads