পদ্মা সেতুর ৩৫তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুটির ৫ হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
আজ শনিবার সেতুটির মাওয়া প্রান্তে সকাল ১১টায় ৮ও ৯ নং পিয়ারে ওপর স্থাপন করা হয় স্প্যানটি। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, পরিকল্পনা থাকলেও নদীতে নাব্য সংকট সমস্যায় গত শনিবার বসানো যায়নি স্প্যানটি। দিনভর ড্রেজিং করে নাব্য সমস্যা নিরসন করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের কাছ থেকে স্প্যানবাহী নির্ধারিত পিয়ার ৮-৯ এর অবিমুখে রওনা হয়। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিয়ার দুটির দূরত্ব ৯০০মিটারের কিছু বেশি। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিয়ারের কাছে ক্রেনের পৌছাতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে।বেলা ২.৪০ দিকে স্প্যানটি বসানো হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৪টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার অংশ।
৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।