• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯

যোগাযোগ

অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেল তুরাগ!

  • তুরাগ (উত্তরা)প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ আগস্ট ২০২১

রাজধানীর তুরাগ থানার অন্তর্গত ৩৩ টি এলাকার রাস্তাঘাট গুলোর অবস্থা এতই শোচনীয় যে যান চলাচল তো দূরের কথা মানুষ ও হাঁটতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা তলিয়ে যায় হাটু সমান পানির নিচে। সেই সাথে বৃষ্টির পানি রাস্তা গড়িয়ে ঢুকে পড়ে আশপাশের বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে ছোটখাটো কারখানা ও অফিসগুলোতেও। এমন অবস্থা থেকে যেন কিছুতেই মিলছে না তুরাগবাসীর মুক্তি। বর্ষা কিংবা ঋতুভেদহীন বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় এলাকার মানুষজন ও যানবাহন চলাচলের প্রধান প্রধান সড়কগুলো।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি না হওয়ায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

গতকাল (সোমবার) রাতে ঘন্টাব্যাপী বৃষ্টিপাতের পর তুরাগের রানাভোলার তিতাসপাড়া নামক এলাকা অতিক্রমের সময় চোখে পড়ে জলাবদ্ধতার শিকার হওয়া স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগের চিত্র। মানুষ ও যানবাহন চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে প্রায় এক থেকে আড়াই ফুট উচ্চতার পানির নিচে। সেই সাথে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে দোকানপাট ও পোশাক তৈরির কারখানাগুলোতেও। গভীর রাতে বৈদ্যুতিক মোটর লাগিয়ে বৃৃষ্টির পানি সরাতে কাজ করছে গার্মেন্টের মালিক ও শ্রমিকেরা। আবার যেসব বাসাবাড়ির গ্যারেজ কিংবা নিচতলায় ঢুকেছে বৃষ্টির পানি সেসব বাড়ির মালিকেরা চেষ্টা করছেন বৃষ্টিতে ভেসে আসা নোংরা পানি থেকে নিজেদের পানি সংরক্ষণের ট্যাংকি নিরাপদ রাখতে। আর তাই কেউ কেউ কোমর বেঁধে নেমেছিলেন পানি সেচের কাজে।

মাত্র ঘন্টাখানিকের বৃষ্টিতেই এমন নাজুক পরিস্থিতিতে রাত-দিন পার করছে তুরাগের অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও। নলভোগ, ফুলবাড়িয়া, রানাভোলা, নয়ানগর, রাজাবাড়ি, সুমনের টেক, তারার টেক, বাদালদি, কামারপাড়াসহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতা নামক চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে। বৃষ্টির পর এসব এলাকার রাস্তাঘাটগুলো মানুষজন ও যানবাহন চলাচলের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠে। কোমর পানিতে ডুবে যায় বেশকটি এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি। বৃষ্টি হলেই এমন অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয় ফুলবাড়িয়া-নলভোগ, ধরঙ্গারটেক, রানাভোলা-নয়ানগর, রাজাবাড়ি-সুমনেরটেকসহ একাধিক এলাকার রাস্তাসমূহ জুড়ে। থৈ থৈ পানিতে কেউ কেউ রিক্সা ও ভ্যানযোগে যাতায়াত করলেও ভিজে যাওয়া থেকে তবুও রেহাই পাচ্ছেনা এখানকার কর্মজীবিরাও। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতার স্বীকার হয়ে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তুরাগের বাসিন্দা।

এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যেন কিছুই করার নেই। জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে  মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর  নাসির উদ্দিনের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads