• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে দুই ব্যবসায়ী

সোনালি ব্যাংকের চার কোটি টাকা সিন্হার বাড়ি বিক্রির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০১৮

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা সোনালি ব্যাংকে জমা হওয়া চার কোটি টাকা বাড়ি বিক্রি করে পেয়েছেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। রোববার দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ; চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার আইনজীবী নাজমুল আলম ও আফাজ মাহমুদ রুবেল বলেন, আমাদের মক্কেলকে দুর্নীতি দমন কমিশন তলব করেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তারা যথাসময়ে হাজির হয়েছেন। তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। দুই ব্যবসায়ী সব প্রশ্নেরই সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন। এস কে সিন্হার সোনালি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া চার কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু জানতে চাওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তারা বলেন, মূলত এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাদের তলব করা হয়। আমাদের মক্কেল জানিয়েছেন, ওই টাকা তাদের এক আত্মীয় দিয়েছেন; বাড়ি কেনার টাকা।

অ্যাডভোকেট নাজমুল আলম জানান, বিচারপতি এস কে সিন্হা ২০১৬ সালে রাজধানীর উত্তরার ছয়তলা বাড়িটি বিক্রি করে দেন। পাঁচ কাঠা জমির ওপর ছিল এ বাড়ি। ওই বছরের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শান্ত্রী রায় ছয় কোটি টাকায় বাড়িটি কেনেন। বায়না দলিলকালে তিনি দুই কোটি টাকা দেন। বাকি টাকা পরিশোধে নিরঞ্জন ও শাহজাহানের সহযোগিতা নেন। নিরঞ্জন শান্ত্রীর স্বামী রণজিতের চাচা (চাচাশ্বশুর) এবং শাহজাহান রণজিতের বন্ধু। তারা বলেন, বাড়ি কিনতে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে নিরঞ্জন ও শাহজাহান দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণ পরিশোধে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে শান্ত্রী রায় জামিনদার হন। জামিনদার হিসেবে টাঙ্গাইল ও ঢাকার আশপাশের বেশ কিছু জমি বন্ধকও রাখেন তিনি।

দুই আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬ সালের মে মাসে জমির বায়না দলিল হয়। সিন্হা ৮ নভেম্বর দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সোনালি ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার মাধ্যমে চার কোটি টাকা গ্রহণ করেন। এরপর ২৪ নভেম্বর হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে বাড়িটি শান্ত্রী রায়কে বুঝিয়ে দেন তিনি।

ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে আত্মসাৎ ও পে-অর্ডারে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা জমা দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২৫ এপ্রিল তাদের উত্তরার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও টাঙ্গাইলের স্থায়ী ঠিকানায় তলবি নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ওই ব্যক্তির নাম না থাকলেও তিনি যে পদত্যাগী সাবেক প্রধান বিচারপতি সিন্হা সে খবর গণমাধ্যমে আগেই এসেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads