• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
শরীয়তপুরে বাবা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

বাবা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

শরীয়তপুরে বাবা-ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

  • শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৮

জেলা সদরে বাবা ও চতুর্থ শ্রেণিপড়ুয়া ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের মামলায় জামিনে বেরিয়ে আসা আসামিরা বাদীপক্ষকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা তুলে না নিলে জীবননাশের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছেন বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

গত ১ মে রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের হালিম বেপারির বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত সন্দেহে ৯ মে সকালে একই গ্রামের খোকন মোল্যা ও তার ছেলে বাহের চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শামীমকে (১১) ধরে নিয়ে যায় হালিমের লোকজন। এরপর তাদের দুজনকে হালিমের বাড়িতে কাঁঠালগাছের সঙ্গে কোমড়ে লোহার শিকল ও গামছা দিয়ে হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। নির্যাতনকারীরা শিশু শামীমকে মাটিতে শুইয়ে বুকের ওপর পাথরচাপা দেয়। শুকনো মরিচের গুঁড়ো খাওয়ায় ও গলার ভেতর গরম পানি ঢেলে দেয়।

খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পৌঁছে শামীম ও তার বাবাকে উদ্ধার করে সন্তোষপুর পুলিশ। পরদিন ১০ মে গুরুতর আহত অবস্থায় শামীম ও খোকনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশের পর গত ১৫ মে খোকন মোল্যার স্ত্রী ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার পর আসামি করম আলী বেপারি, সাহেব আলী বেপারি ও সুমন বেপারিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। সম্প্রতি আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়েছে। জামিনে বেরিয়েই তারা বাদী ফাহিমা বেগম ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফাহিমা বেগম বলেন, ‘আসামিরা মামলা তুলে নিতে বলছে। নইলে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে আমরা চরম আতঙ্কিত।’

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads