• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
রাজধানীতে কোটি টাকার জাল নোটসহ আটক ১০

রাজধানীতে কোটি টাকার জাল নোটসহ আটক ১০

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

টার্গেট ছিল ঈদবাজারে ৫ কোটি টাকা ছাড়ার

রাজধানীতে কোটি টাকার জাল নোটসহ আটক ১০

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ জুন ২০১৮

রাজধানীর কদমতলী থেকে জাল টাকা ও তৈরির সরঞ্জামসহ ১০ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের কাছ থেকে ১ কোটি টাকার জাল নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য্য এ কথা জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো রফিক, জাকির, হানিফ, রাজন শিকদার, খোকন, রিপন, মনির, সোহরাব, জসিম ও লাবণী। দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কদমতলীর বউবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে জাল নোট ছাপার সঙ্গে জড়িত চক্রের সদস্যদের আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ কোটি টাকার জাল নোট, জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম, নিরাপত্তা সুতা, প্রিন্টার, ল্যাপটপ, কাগজ ও কালি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঈদকে লক্ষ্য করে বাজারে ৫ কোটি টাকার জাল নোট ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল চক্রটি। যে পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে আরো ৩-৪ কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করা সম্ভব। এসব টাকা পাইকারি বিক্রেতাদের মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিত চক্রটি। এ ধরনের আরো ৮-৯টি জাল নোট তৈরির চক্র রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, এই গ্রুপ ছাড়াও ইতোমধ্যে একাধিক চক্রকে আটক করা হয়েছে। যাদের আটক করা সম্ভব হয়নি তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে।

জাল নোট তৈরির প্রতারক চক্রটিকে আটকের অভিযানে অংশ নেওয়া ডিবি উত্তরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মহরম আলী জানান, এই চক্রের মূল হোতা রফিক। টাকার মধ্যে নিরাপত্তা সুতা বসানোসহ অন্যান্য সূক্ষ্ম কাজ করত জাকির। বাকিরাও জাল নোট তৈরির বিভিন্ন পর্যায়ে যুক্ত থাকে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট তৈরির কাজ করে আসছিল। একজনকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে চক্রের অন্যান্য সদস্যকে আটক করা হয়।

দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘এক লাখ টাকার জাল নোট তৈরিতে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। পাইকারি বিক্রেতার কাছে এই এক লাখ টাকা বিক্রি করা হয় ১৪-১৫ হাজার টাকায়। পাইকারি বিক্রেতা এসব নোট খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে ২০-২৫ হাজার টাকায়। প্রথম খুচরা বিক্রেতা দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে ৪০-৫০ হাজার টাকায়। দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতা এক লাখ টাকার জাল নোট প্রায় সমপরিমাণ দামে মাঠপর্যায়ে বিক্রি করে থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষ করে ঈদ, পহেলা বৈশাখ ও দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সংঘবদ্ধ জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্র তৎপর হয়ে ওঠে। এজন্য আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads