• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
পুলিশের ভুলে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল আসাদের

ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

চট্টগামে অনিক হত্যাকাণ্ড

পুলিশের ভুলে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল আসাদের

  • নওগাঁ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ জুন ২০১৮

নওগাঁয় পুলিশের ভুলে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওই পুলিশের শাস্তি দাবিতে এলাকাবাসী প্রায় দুই ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শহরের বাইপাসে নওগাঁ-বগুড়া সড়কের ইকরতারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। নিহত পল্লী চিকিৎসক আসাদুল ইসলাম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের বলিরঘাট গ্রামের বাসিন্দা এবং নওগাঁর প্রত্যাশা ক্লিনিকের মালিক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডা. আসাদ মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের ইকরতারা এলাকা থেকে রোগী দেখে বাইপাস সড়ক দিয়ে পার-নওগাঁয় তার প্রত্যাশা ক্লিনিকের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে উল্লিখিত স্থানে পৌঁছুলে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখার জন্য থামার সঙ্কেত দেন। তিনি থামার আগেই ওই পুলিশ সদস্য আসাদের বাম হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডানপাশে পড়ে যান। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর পুলিশ সেখান থেকে সটকে পড়ে। তবে পুলিশের ওই সদস্যের নাম জানা যায়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন গাড়ির লাইসেন্স দেখার নাম করে চাঁদাবাজি করে থাকে। এ দুর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক পুলিশই দায়ী। ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে।

এদিকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের ওপর চড়াও হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুসতানজিদা পারভীনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) লিমন রায়কে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে নওগাঁ ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর গোলাম সারোয়ার বলেন, আমার জানামতে কোনো পুলিশ সেখানে ডিউটিতে ছিল না। রাস্তায় কোনো যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করা হয় না বলেও দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads