• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
‘মৃত ভেবে ফেলে যায় এমপির ছেলের লোকজন’

লোগো তাঁতী লীগ

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

‘মৃত ভেবে ফেলে যায় এমপির ছেলের লোকজন’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ জুলাই ২০১৮

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদীতে মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবলীগ নেতার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁতী লীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক সংসদ সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনোহরদী উপজেলা তাঁতী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অহিদুল আলম শামীম জানান, মারধরের একপর্যায়ে তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায় হামলাকারীরা। তবে মারধরের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এমপি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী।

ঢামেকের বেডে শুয়ে শামীম জানান, স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী মাজহারুল ইসলামের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় এমপি হুমায়ুনের পক্ষের লোকজন। এরই জেরে গত বুধবার জেলার হাতিরদিয়া বাসস্ট্যান্ডে তাকে মারধর করা হয়।

ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেলে বসে দলীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় সাদীর একটি গাড়ি আসে। তিনি গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায়ই পাভেল নামে একজন লাঠি নিয়ে নেমে আসে। এরপর একটি মোটরসাইকেলে করে আরো তিনজন সেখানে উপস্থিত হয়। হোটেলের ভেতরে ঢুকে তারা আমার ওপর হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। আমি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশের একটি জমিতে পড়ে গেলে সেখানেও তারা মারধর করে। পরে আমাকে মৃত ভেবে চলে যায়। এ ব্যাপারে মনোহরদী থানা পুলিশকে অভিযোগ করলে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

এ প্রসঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপশিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আহত শামীম আমার একজন কর্মী। এটি তার ওপর পরিকল্পিত হামলা। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্ব্বিত হয়ে ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভালো অবস্থান থাকায় আমার সমর্থক-নেতাকর্মীদের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচার দাবি করছি।’

মনোহরদী থানার ওসি মো. ফখরুদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘আমি এমন একটা ঘটনা মোবাইল ফোনে শুনেছি। তবে কে বা কারা ঘটিয়েছে, সেই সম্পর্কে জানি না। আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এমপির ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। তিনি বলেন, ‘ওইদিন আমি নরসিংদী থেকে মনোহরদী আসার পথে হাতিরদিয়ায় গাড়িতে বসেই দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথা শেষ করে চলে আসি। আসার আধা ঘণ্টা পর লোকমুখে খবর পাই, শামীম নামের একজনকে কে বা কারা মারধর করেছে। এ ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার করায় আমি মর্মাহত হয়েছি।’

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই একটি চক্র এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছে। আমার ছেলে সাদী বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এলাকায় রাজনীতি করছে। দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা তা পছন্দ করছেন না।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads