• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
নিখোঁজ স্থপতি নবীনের খোঁজ মিলল খুলনায়

নিখোঁজ হওয়া স্থপতি বিএমএ মাহফুজ নবীন

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

নিখোঁজ স্থপতি নবীনের খোঁজ মিলল খুলনায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০১৮

চারদিন আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ স্থপতি বিএমএ মাহফুজ নবীনের খোঁজ মিলল খুলনায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। নবীনের স্ত্রী জান্নাতুল এশা বলেন, ‘বুধবার রাত ৩টার দিকে তার স্বামীকে একটি মাইক্রোবাস থেকে খুলনার খালিশপুর এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। তখন ওর চোখ বাঁধা ছিল। পরে নিজেই চোখ খুলে বুঝতে পারে কোথায় আছে। খুলনায় ওর এক বোনের বাসা আছে। আপাতত সেখানেই আছে সে।’

তবে কারা মাইক্রোবাসে করে নবীনকে খুলনায় নিয়ে গেছে- গত চারদিন তিনি কোথায় ছিলেন- এসব বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেনি এশা। তিনি বলেন, ‘ও ঠিকমত হাঁটতে পারছে না। পা আর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার সাথে খুব অল্প সময় কথা হয়েছে। শরীর এতোটাই খারাপ যে কথা বলতে পারছে না ঠিকমত।’

আবাসন নির্মাতা কোম্পানি শেলটেকের স্থপতি নবীন পরিবার নিয়ে থাকতেন ঢাকার ভাষানটেকে। রোববার সকালে কলাবাগানে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি আর ফেরেননি বলে ভাষানটেক থানায় একটি জিডি করা হয় সোমবার।

জিডির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া ভাষানটেক থানার এসআই রুহুল আমিন বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘নবীনের পরিবারের পক্ষ থেকে খুলনায় তার খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। যতটুকু জেনেছি বর্তমানে সে অসুস্থ। সময় ও সুযোগ মতো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

এশা জানিয়েছেন, রোববার বেলা ১১টার পর নবীন বাসা থেকে বের হন। পরে তার মোবাইল থেকে একটি এসএমএস পান তিনি। সেখানে বলা হয়, মোবাইলে চার্জ শেষ, অফিসে গিয়ে দুপুরে ফোন দেবেন নবীন। রোববার বেলা ২টার পর নবীনকে ফোন করে বন্ধ পান এশা। পরে অফিসে ফোন করে জানতে পারেন, নবীন অফিসেই যাননি। পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, ওই নামে কেউ আটক থাকার কোনো তথ্য তাদের হাতে নেই।

এসআই রুহুল আমিন মঙ্গলবার বলেছিলেন, নবীনের মোবাইলের সর্বশেষ অবস্থান তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন দারুস সালাম এলাকায়। সেখানে তিনি কেন গিয়েছিলেন, না কি অন্য কেউ তার মোবাইল ব্যবহার করছিল- তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

আবার নবীন বাসা থেকে বের হওয়ার পর কচুক্ষেত এলাকায় একটি ব্যাংকের বুথ থেকে তার কার্ড ব্যবহার করে ২০ হাজার টাকা তোলা হয়। নবীন নিজেই টাকা তুলেছিলেন কি না- তা জানতে বুথের সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন এসআই রুহুল।

তিনি বলেছিলেন, নবীনকে কেউ অপহরণ করেছে কি না, তিনি আত্মগোপন করেছেন কিনা, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো বিষয় এর পেছনে আছে কি না- সব সম্ভাবনাই তারা খতিয়ে দেখবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads