• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
তিন সিটি নির্বাচন জঙ্গি তৎপরতা বাড়ার শঙ্কা ইসির

তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে উগ্রবাদীদের গতিবিধি বাড়ার আশঙ্কা করছে ইসি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংরক্ষিত

অপরাধ

তিন সিটি নির্বাচন জঙ্গি তৎপরতা বাড়ার শঙ্কা ইসির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে উগ্রবাদীদের গতিবিধি বাড়ার আশঙ্কা করছে খোদ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিন সিটির নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার খসড়া কর্মপরিকল্পনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে জঙ্গি তৎপরতা ও গুজব রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা জারির কথা উল্লেখ রয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, যাচাই শেষে এ খসড়াটি আজ বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এর আগে ইসি সচিব বরাবর জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের পাঠানো খসড়ায় আরো বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের যৌথসভা করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের সার্বিক সমন্বয়ে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। শিগগিরই এ নির্দেশনা পরিপত্র আকারে জারি হবে।

তিন সিটির নির্বাচন সামনে রেখে ২৮ থেকে ৩১ জুলাই মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, নির্বাহী-বিচারিক হাকিমসহ মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ইসির চাহিদা অনুযায়ী রাখা হয়েছে। এর আগে ১২ জুলাই বৃহস্পতিবারের আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ভোট সামনে রেখে জঙ্গি তৎপরতা ও সহিংসতা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেদিকে নজর রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বরিশাল ও সিলেটের চেয়ে রাজশাহীতে বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মিছিলে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটাই দেখার বিষয়। এ বছর দেশে দুটি জঙ্গি হামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এসব আক্রমণের সঙ্গে যেসব জঙ্গি জড়িত ছিল, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমু আরো বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আসন্ন তিন সিটির নির্বাচনও যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যারা ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে, তাদের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, সংশ্লিষ্টরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের। কমিশন যেভাবে চায়, সেভাবে সব ধরনের সহায়তা করবেন তারা। ভোটের পরিবেশ শান্ত ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ যাতে বজায় থাকে, সে জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রচারে জোর দিচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগও করে আসছেন। এ নিয়ে আলাপকালে ইসির যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান আরজু বাংলাদেশের খবরকে বলেন, খুলনা ও গাজীপুরে যেমন শত শত অভিযোগ এসেছে, তার সবই সঠিক নয়, প্রচুর ভুয়া অভিযোগও এসেছে। তিন সিটির নির্বাচনেও তেমন আলামত দেখা যাচ্ছে।

তিন সিটির এ নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রতীকে। তিন সিটিতে মেয়র পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ জন। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জনসহ ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads