নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মাহমুদা আক্তার (২৮) নামে এক মডেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে কে তাকে হত্যা করেছে সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। নিহত পরিবারের ধারণা হয়তো স্বামী নিজেই মাহমুদাকে হত্যা করে পালিয়েছে।
নিহত মাহমুদা আক্তার শহরের দেওভোগ নাগবাড়ী এলাকার আক্কাস আলীর মেয়ে। মাহমুদার মা সুফিয়া বেগম জানান, মাহমুদার আগে একটি বিয়ে হয়। বছরখানেক আগে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। মাহমুদার আগের সংসারে রিয়ানা রহমান জারা নামের ৪ বছরের এক মেয়ে আছে। দুই মাস আগে মাহমুদা জানায় বাপ্পী নামের একজনকে সে বিয়ে করেছে। তখন থেকেই সে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে শহরের গোগনগরে চলে যায়। আর রিয়ানা নানা ও নানির কাছে থেকে যায়। মাহমুদা জানাত সে ঢাকায় কাজ করে। কিন্তু কী কাজ করে সেটা কখনো জানায়নি। মডেল বা টপটেনে চাকরির খবরটিও তিনি জানতেন বলে জানান মাহমুদার মা।
সুফিয়া বেগম আরো জানান, গত বুধবার মোবাইলে তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। সোমবার গভীর রাতে তিনি মেয়ের মৃত্যুর খবর পান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদা আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত ‘টপটেন’ নামক তৈরি পোশাক বিক্রির চেইন শপের বিক্রয় কর্মকর্তা ছিলেন। তবে বছরখানেক আগে তিনি ওই চাকরি ছেড়ে দেন। পরে তিনি বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মডেলিংয়ে বেশকিছু কাজ করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, গোগনগর এলাকার মোহাম্মদ আলী আকবরের তিনতলা ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাট বাসা থেকে মাহমুদার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। গত ৩ জুন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মাহমুদা ও বাপ্পী বাসা ভাড়া নেয়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। সোমবার রাতে ওই বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে ভাড়াটিয়ারা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ওই বাসার মেঝে থেকে মাহমুদার লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু লাশটিতে পচন ধরে গেছে তাই সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার স্বামী তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাসার বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
