• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
মাদক ব্যবসায়ী নারী দিয়ে বিচারককে ফাঁসানোর চেষ্টা

বিচারককে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন এক নারী মাদক ব্যবসায়ী।

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

মাদক ব্যবসায়ী নারী দিয়ে বিচারককে ফাঁসানোর চেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ আগস্ট ২০১৮

বিচারককে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন এক নারী মাদক ব্যবসায়ী। র্যাবের হাতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হেনারা আক্তার নামের ওই নারী একজন অতিরিক্ত জেলা জজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে কুৎসা রটাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, হেনেরা আক্তার একসময় ঢাকা কোর্টে স্টেনোগ্রাফার (ওমেদার) হিসেবে কাজ করতেন। ওই সময় অতিরিক্ত জেলা জজকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতেন তিনি। পরে সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে ওমেদার হিসেবে কাজ করা লোকদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিলে তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। বেকার হয়ে একপর্যায়ে হেনারা আক্তার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর ইয়াবাসহ তাকে র্যাব গ্রেফতার করে। এক মাস জেল খেটে জামিনে বের হন তিনি। এর পর থেকে ওই বিচারককে নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। না পেরে মুঠোফোনে বিভিন্ন অশ্লীল এসএমএস পাঠান। একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়।

সূত্র জানায়, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানাধীন আমিরাবাদ গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা হেনেরা আক্তার চলতি বছরের ২২ জুলাই ওই বিচারকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। তিন বছর আগে ২০১৫ সালের ৮ জুন তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। অথচ ওইদিন বিচারক তার বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। যার ছবিও রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ধর্ষণের পর হেনারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হলেও ঢামেকের রেজিস্ট্রারে এ ধরনের কোনো এন্ট্রি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে হেনারা আক্তারের অভিযোগসহ মোট চারটি অভিযোগে বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয় এবং এগুলো নিষ্পত্তির পরে বিচারককে নির্দোষ ঘোষণাসহ তাকে যথাসময়ে পদোন্নতিসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। গত ২২ এপ্রিল তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর মন্ত্রণালয় তাকে নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্ট বরাবর প্রস্তাব পাঠায়। তার ব্যাচের অফিসারদের মধ্যে তাকেই প্রথম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদায়নের প্রস্তাবের পরপরই এ চক্রটি আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। চাকরির ক্ষেত্রে তার দ্রুত এ সাফল্যকে রুখে দেওয়ার জন্য ওই নারীকে দিয়ে নিষ্পত্তিকৃত একটি বিষয়ে আবার অভিযোগ দায়ের করায়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads