চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার মৃত্যুকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ দুপুরে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
এতে মূল অভিযুক্ত আদনানসহ ৬ আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছে তাসফিয়ার পরিবার।
রোববার দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি'র এস আই স্বপন কুমার সরকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই প্রতিবেদন জমা দেন। একইসঙ্গে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাসহ ৬ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
সিএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোয়েন্দা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'ঐ খানের প্রত্যক্ষ ১৬ জন সাক্ষী আমরা নেই। তাদের সাক্ষ্য এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট সব কিছু মিলিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই তাসফিয়া আত্মহত্যা করেছে।'
তবে গোয়েন্দা পুলিশের ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি দেয়ার কথা জানিয়েছে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী তাসফিয়ার পরিবার।
নিহত তাসফিয়ার মা নাঈমা খানম বলেন, 'আমার মেয়ের আত্মহত্যা করার তো কোনো কারন নেই।'
গত পহেলা মে নগরীর পতেঙ্গা নেভাল এলাকা থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া আমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা বাদী হয়ে, তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাসহ ৬ জনকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদনানসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ফিরোজ নামের আরেক আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করে।