• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
দুই বছরেও ক্লু পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

রাজধানীর উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরে বৌদ্ধমন্দিরের পাশের খাল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার।

ফাইল ফটো

অপরাধ

উত্তরার খাল থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

দুই বছরেও ক্লু পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাজধানীর উত্তরার একটি খাল থেকে ৯৭টি পিস্তলসহ বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনার দুই বছর পার হলেও এসব অস্ত্রের রহস্য (ক্লু) বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সময় বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়েছিল অস্ত্রগুলো ভারতীয় কোম্পানির। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি।

এদিকে দুই বছরেও অস্ত্রগুলোর কোনো রহস্য বের করতে না পেরে এখন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, জঙ্গিরা দেশে বড় ধরনের নাশকতার লক্ষ্যে এসব অস্ত্র আমদানি করেছিল। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়ে ওঠে। র্যাব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চিরুনি অভিযান শুরু করে। অভিযানের তোড়ে জঙ্গিরা উপায়ন্তর না দেখে রাতের আঁধারে অস্ত্রগুলো খালের মধ্যে ফেলে থাকতে পারে। অস্ত্র উদ্ধারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছিলেন, যারা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে জড়িত তারাই অস্ত্রগুলো রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে অস্ত্র নিজেদের কাছে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে তারা নিরিবিলি স্থানে সেগুলো ফেলে যায়।

এ বিষয়ে তুরাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দুলাল হোসেন গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রথমে থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করলেও বর্তমানে ডিবি তদন্ত করছে। তাদের জানামতে এই অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে এখনো কিছু জানতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে বিভিন্ন দিক বিবেচনায় এনে অস্ত্রের উৎসের খোঁজ চলছে।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, অস্ত্রগুলো ভারতের একটি কোম্পানির তৈরি। অস্ত্রে যেসব লেবেল লাগানো ছিল তা দেখে এমন ধারণা করা হচ্ছে। তবে গত দু’বছর ধরে তদন্তে এমন কিছু পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি। এখনো কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। জঙ্গিদের বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন করে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৫ জুন উত্তরার একটি খাল থেকে ৯৭টি পিস্তল, ৪৬২টি ম্যাগাজিন, এক হাজার ৬০টি গুলি ও ১০টি বেয়নেট উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া ১০৪টি গুলি তৈরির ছাঁচও ছিল। যেসব ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে তার মধ্যে ২৬৩টি এসএমজির। আর গুলির মধ্যে ২২০টি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু বোর পিস্তলের এবং ৮৪০টি নাইন এমএম পিস্তলের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads