ঢাকার ধামরাইয়ে আবুল হোসেন নামে এক কৃষককে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ধামরাইয়ের কুটিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাতেই আবুল হোসেনের ছেলে লিটন মিয়া ও স্ত্রী মাজেদা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আবুল হোসেন তার স্ত্রী মাজেদা ও ১১ বছরের সৎ মেয়ে মারিয়া আক্তারকে নিয়ে এক ঘরে থাকতেন। পাশের রুমেই থাকতেন তার ছেলে লিটন মিয়া ও তার স্ত্রী ফুলমালা। রাত ১১টার দিকে আবুল হোসেনকে কে বা কারা জবাই করে রামদা ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী মাজেদা ও ছেলে লিটনকে আটক করে পুলিশ।
আবুল হোসেন প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ১০ মাস আগে একই গ্রামের মাজেদা বেগমকে ১০ বছরের এক মেয়েসহ ১৫ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে বিয়ে করেন। এটি মেনে নিতে পারেননি প্রথম স্ত্রীর ছেলে লিটন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেন। এ বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই আবুল হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।