• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রামে নিখোঁজ গানের শিক্ষিকার পরকীয়া কাণ্ড

গানের শিক্ষিকা মনিকা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

চট্টগ্রামে নিখোঁজ গানের শিক্ষিকার পরকীয়া কাণ্ড

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৯ নভেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রাম থেকে সাত মাসে আগে ‘নিখোঁজ’ গানের শিক্ষিকা মনিকা বড়ুয়া রাধাকে উদ্ধারের পর পুলিশ বলেছে, তিনি নিজের ইচ্ছায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক ভারতীয় ব্যক্তিকে বিয়ে ঘর-সংসার শুরু করেন দুই মেয়ের মা মনিকা। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত থেকে মঙ্গলবার মনিকাকে ‘উদ্ধার’ করার পর বুধবার রাতে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বলেন, মনিকা স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়েছিলেন। শুরুতে আমরা মনে করেছিলাম তাকে অপহরণ বা পাচার করা হয়েছে। পরে জানতে পারি তিনি নিজ ইচ্ছায় গেছেন। যারা তার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছেন তারাও জানতেন মনিকা ভারতে আছেন। এটা আমাদের জানা থাকলে আরো আগেই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভারতের নাগরিক ব্যবসায়ী কমলেশ কুমার মল্লিকের (৩৫) সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় নগরীর কাতালগঞ্জের লিটল জুয়েলস স্কুলের গানের শিক্ষক দুই সন্তানের জননী মনিকা বড়ুয়া রাধার। পরিচয় থেকে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় তাদের সম্পর্ক। গত ১২ এপ্রিল শ্যামলী পরিবহনের বাসে মনিকাকে নিয়ে বেনাপোল সীমান্ত পর্যন্ত যান কমলেশ। তারপর অবৈধ পথে তারা ভারত পৌঁছান। এরপর কলকাতায় একটি মন্দিরে বিয়ে করেন তারা। কলকাতার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় তারা একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন। মনিকা ওখানে নিজেকে অনামিকা মল্লিক নামে পরিচয় দিতেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আমেনা বেগম জানান, মনিকা অপহরণ হয়েছে এমন অভিযোগে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের খুলশী থানায় অপহরণ মামলা করেন তার স্বামী সাংবাদিক দেবাশীষ পাল দেবু। মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কমলেশের সন্ধান পায় পুলিশ। তার বাংলাদেশে ব্যবসা রয়েছে। গত ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন কমলেশ। ৪ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে মনিকা বড়ুয়া রাধার তথ্য পাওয়া যায়। এরপর কমলেশের মাধ্যমে মনিকাকে কৌশলে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমেনা বেগম আরো জানান, মনিকা অপহরণ হয়েছে বলে যারা দীর্ঘ দিন তার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তাদের অনেকের সঙ্গে মনিকার ভারত থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। কিন্তু তারা পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি। এমনকি সাংবাদিক দেবাশীষের ঘর ছেড়ে দেওয়ার আগে তিনি তার দুই মেয়ে ও বোনকে বিষয়টি অবহিতও করেছিলেন। তদন্ত প্রক্রিয়ায় মনিকার মেয়ে এবং বোনরা পুলিশকে কোনো সহযোগিতা করেনি। বরং তথ্য গোপন করেছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এ ঘটনায় মামলা হয়েছে তাই এ মামলায় মনিকা আসামি। আইনিভাবে বিষয়টি তাকে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা কমলেশকেও এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছি।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল লালখান বাজার এলাকার হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন দুই মেয়ের মা ও চট্টগ্রাম নগরীর কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার ইংরেজি মাধ্যম লিটল জুয়েলস স্কুলের গানের শিক্ষক মনিকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads