• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন হন ‘তিশা’

খুন

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

আদালতে চার আসামির স্বীকারোক্তি

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন হন ‘তিশা’

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৯ নভেম্বর ২০১৮

সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীরে মাটি খুঁড়ে এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়রসহ চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। আদালতে গত বুধবার বিকালে চার আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। খুন হওয়া নারীর নাম তিশা বেগম উল্লেখ করে তারা জবানবন্দিতে বলেছে, বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর রাতে তাকে খুন করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৫ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে দয়ামীর বাজারের কনাইশা (রহ.) মাজারের পশ্চিমে একটি খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা দেওয়া অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৪ জন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তবে খুন হওয়া তিশার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলো উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে আবদুল বারিক, তার কথিত স্ত্রী জামালপুর জেলার ভাটি গজারিয়া এলাকার ওয়াহিদ আলীর মেয়ে নাসরিন বেগম পাখি, তার ভাগ্নে একই গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে মাসুম মিয়া। এ ছাড়া একই আদালতে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ও মামলার প্রধান আসামি আবুল বারীকের মেয়ে ময়না বেগম, মোনালিসা, আবদুল বারিকের বোন নেহার বেগম ও দয়ামীর বাজারের পাহারাদার আবদুল গনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এর বিচারক কানন দেব আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে ৬ নভেম্বর এসআই সাইফুল মোল্লা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেন।

আদালতে আসামিদের দেওয়া জবানবন্দির বরাতে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ৪ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তিশা বেগমকে নিয়ে আসামি সেলিম মিয়া দয়ামীরের খালপাড় গ্রামের আবদুল বারিকের বাড়ি যায়। সেখানে মদ পান করার সময় তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সেলিম মিয়া। তিশা বিয়েতে রাজি না হলে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এর জেরে খুনের ঘটনা ঘটে। রাতেই বারিকের কথিত স্ত্রী নাসরিন বেগম পাখি, তার ভাগ্নে মাসুম এবং আরো ৩-৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি রিকশাচালকের সহায়তায় দয়ামীর বাজারের কনাইশা (রহ.) মাজারের পশ্চিমে খালি জায়গায় লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads