• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
‘দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে হলি আর্টিজান হামলা’

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরা

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

‘দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে হলি আর্টিজান হামলা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে ন্যক্কারজনক জঙ্গি হামলা মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার প্রথম দিনে মামলার বাদী গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক রিপন কুমার দাসের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার বাদী রিপন কুমার দাস বিচারককে বলেন, সন্ত্রাসীরা আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনার সময় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২০ জন মারা যান। তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এই সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

এ দিন বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি আসলাম ও রিগ্যানের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ জেরা শুরু করেন। আংশিক জেরা শেষে বিচারক পরবর্তী জেরার জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। বাকি চার আসামির জন্য সরকারি আইনজীবী নিয়োগের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে পলাতক দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাক্ষীর জন্য গতকাল ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ৮ আগস্ট আটজন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার হাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। পরে ৩০ জুলাই মামলাটির চার্জশিট গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য এ দিন ধার্য করা হয়। গত ৭ আগস্ট ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলার নথি পৌঁছায়।

চার্জশিটে আসামি ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামি হলেন হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আবদুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাকি ৬ জন আসামি কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্যও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads