• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ড. কামালের কর ফাঁকির অনুসন্ধানে এনবিআর

ড. কামাল

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

ড. কামালের কর ফাঁকির অনুসন্ধানে এনবিআর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন কর ফাঁকি দিয়েছেন কি না তা অনুসন্ধানে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে পাওয়া এক চিঠিতে রাজস্ব প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে কাজটি করতে গিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চায় না এনবিআর। গতকাল রোববার দুপুরে এনবিআর সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ড. কামাল হোসেন কর ফাঁকি দিয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা কাজ করছি। এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়। ব্যাংক সার্চ দিতে হবে। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন এই মুহূর্তে যদি খড়্গহস্ত হয়ে যাই তাহলে অনেকে ভাববে যে তিনি বিরোধী দলের পক্ষ হয়ে নির্বাচন করছেন এজন্য ধরছি। যাই হোক, এ প্রক্রিয়া চালু আছে। নির্বাচনের মুহূর্তে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না আমরা।

তাহলে নির্বাচনের কারণে এবং বিরোধীদলীয় জোট নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে এই আইনজীবীকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন- না, পরিস্থিতি যাতে ওই লাইনে না যায়, তবে তাকে ছাড় দিচ্ছি না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে একটি চিঠি দিয়েছে। ড. কামালের স্ত্রী হামিদা হোসেনের নামে সরকারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া প্লটের ওপর নির্মিত বাড়ি শর্ত ভেঙে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। বিষয়টি তদন্ত করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশিষ্ট এই আইনজীবী।

ড. কামাল হোসেন সার্কেল ১৬৪, ঢাকা কর অঞ্চল ৮-এর একজন করদাতা। বিভিন্ন করবর্ষে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দুটি, সিটি সেন্টারে দুটি (যার একটি বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব) এবং আইএফআইসি ব্যাংকে একটি হিসাবসহ মোট পাঁচটি হিসাবে জমা টাকার ওপর কর পরিশোধ করেছেন। তবে এ আইনজীবীর নামে একটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে যাতে জমাকৃত টাকার বিপরীতে তিনি কর পরিশোধ করেননি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads