• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ইসিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা দিলেন খোকন

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

ইসিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা দিলেন খোকন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি একাংশ) আসনের বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন- নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোট না চেয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন তিনি।

খোকন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ একাকার হয়ে গেছে। যেটা সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থি এবং এটা করা উচিত নয়। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এসব করছে তাদেরকে পরিবর্তনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি বলে জানান সাংবাদিকদের।’

বিএনপি প্রার্থী খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিইসিকে আমার নির্বাচনী প্রচারণার কথাও বলেছি। সেদিন সেখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছিল না। আওয়ামী লীগের কোনো মিছিল ছিল না, কিছুই ছিল না। আমার গণসংযোগের সামনে ও পেছনে পুলিশ ছিল। পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের গণসংযোগের বিষয়ে অবহিত করা ছিল। গণসংযোগের এক পর্যায়ে সোনাইমুড়ি থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। আমি নিষেধ করে বললাম গুলি করছেন কেন? গুলি স্টপ করেন প্লিজ। তারপরও ওসি সাহেব গুলি স্টপ করেননি। সম্ভবত শর্টগান ছিল। আমি বললাম মানুষকে গুলি কইরেন না। গুলি করলে আমাকে করেন। তখন আমাকে সে গুলি করে! আমার কণ্ঠনালীর ওখানে গুলি লেগে রক্ত ঝরছিল। আমি বললাম আপনি আমাকে গুলি করলেন? তারপর সে বলল আপনি ওদিকে যান। তার দেখানো দিকে যাওয়ার সময় পেছনে আবার গুলি করে। আমার শরীরে মোট সাতটা গুলি লেগেছে। পেছনে ছয়টা সামনে একটা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি সিইসিকে বললাম যে পুলিশ কী বলল না বলল এটা কোনো মেটার নয়। আমি একজন ল ইয়ার হিসেবে, ব্যারিস্টার হিসেবে, আন্ডার ওয়েট হিসেবে বলতেছি এই হলো ঘটনা। সেখানে কোনো আওয়ামী লীগের লোক ছিল না। পরবর্তী সময়ে আমি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টা পর পুলিশ প্রহরায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপির দোকানপাট, হাসপাতালে ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের পর তারা ভিন্ন স্টোরি বানিয়েছে।’

এ আইনজীবী বলেন, ‘চাটখিল থানার ওসি সামসুদ্দিন বিএনপির লোক ধরে নিয়ে ঘুষ নেয়। প্রতিদিন ১৫-২০ জন ধরবে। কোনো মামলা নেই কিছু নেই। সেখান থেকে হয়তো পাঁচজনকে রিকোয়েস্টে ছাড়ছে। পাঁচজনের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। আর পাঁচজনকে চালান দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা আছে- যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে না। তা সে মানছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না। চাটখিল-সোনাইমুড়িতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কাছে যে অস্ত্র আছে। দুই-তিন থানায়ও এত অস্ত্র নেই। অস্ত্র উদ্ধার করেন। তারা (কমিশন) বলেছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমর্থক অবৈধ অস্ত্রধারীরা এবং পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন করছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ভোট চাচ্ছে না। তাদের প্রার্থীর কর্মীরা মানুষকে হয়রানি করছে, সন্ত্রাস করছে এবং পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাচ্ছে। শুধু আমার এলাকায় নয়, সারা দেশে একই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কর্মীরা কোথাও ভোট চাচ্ছে না। তারা মিছিলে হামলা করছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। এসব বিষয়ে জানানোর পর সিইসি বলেছেন- আমরা সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে বদ্ধপরিকর।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads