নোয়াখালী-২ (সেনবাগ- সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে বিএনপির দলীয় ধানের র্শীষ মার্কার প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন। তার একটি নির্বাচনী গণসংযোগে অতর্কিতে হামলার চালিয়ে ও গুলি বর্ষণ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অাজ সোমবার বিকেল সেনবাগ উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামস্থ এমপি বিলায় ওই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপিস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা কাবিলপুর ইউনিয়নের উত্তর সাহাপুর ৪নং ওয়ার্ডে পূর্ব নিধারিত একটি একটি গণসংযোগ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে কল্যান্দী বাজার থেকে শুরু হয়ে খালেকের দোকান , সেখান থেকে শরিয়ত উল্লাহ দোকান হয়ে বাইলা বাড়ির সংলগ্ন শরিয়ত উল্লা কোম্পানী মাছের প্রজেক্টের সামনে পৌছলে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র ক্যাডার হাত বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাথাড়ী গুলি বর্ষন শুরু করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নোয়াখালী জেলা পরিষদের জহিরুল ইসলাম জহির, সাখাওয়াত হোসেন,শহীদুল, আবদুল করিম, শাহাজাহান সাজু , রিয়াদ ও মারুফসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের দাগনভূঁইয়া ও ফেনীতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়। হামলার পর তিনি একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তাকে সহায়তার করার জন্য থানা পুলিশকে মোবাইল ফোন থেকে কল করা হলেও র্দীর্ঘ একঘন্টা পর পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে উপস্থিতত হয়। এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার না করে বিনা উস্কানিতে ঘটনাস্থলে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে হুমায়ন কবির, সুজন, মেহেদী, কোরবান আলী, সফি উল্লাহ, জাহিদুলকে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে থাকা বিজিবি’র সদস্যরা তাকে জয়নুল আবদিন ফারুককে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌছে দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয় শুরু থেকে এ পর্যন্ত তার বিএনপির নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত ১০টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর, ৯টি প্রচার মাইক ভাংচুর, প্রচার কাজে নিয়োজিত লোকজন থেকে ১২টি মোবাইল ফোন ছিনতাই, এবং ১০টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে । এসব ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে রিটানিং অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার ও থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এখন পর্যন্ত অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জয়নুল আবদিন ফারুক নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার লক্ষে সেনবাগ থানার ওসির অবসারণ দাবী করেন।