• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯
রাজধানীর আবাসিক হোটেলে তল্লাশি মেসগুলোতে নজরদারি

রাজধানীর আবাসিক হোটেলে নজরদারি

অপরাধ

রাজধানীর আবাসিক হোটেলে তল্লাশি মেসগুলোতে নজরদারি

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ব্যাচেলরদের থাকার মেসগুলোয়ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত সোমবার রাত থেকে পুলিশ রাজধানীর ফকিরেরপুলের বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালায়। গত মঙ্গলবার রাতেও পুরান ঢাকার নবাবপুর, কাপ্তানবাজার ও ইসলামপুর এলাকার অর্ধশত আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়। তবে অভিযানে পুলিশ মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র বা অবৈধ কোনো কিছু পায়নি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আবাসিক হোটেলে বোর্ডার তোলার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে মতিঝিল মডেল থানার ওসি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ইতঃপূর্বে আমরা দেখেছি নির্বাচনের আগে আবাসিক হোটেলগুলোয় বসে সন্ত্রাসীরা নাশকতার পরিকল্পনা করে। তারা নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে আবাসিক হোটেলে অবস্থান নিয়ে এলাকা রেকি করে। ফলে এবার আর সে সুযোগ থাকছে না। হোটেলে কে উঠছে, কেন উঠছে এসব খোঁজ খবর রাখছি আমরা। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক আছে।

এদিকে মেসের বাসিন্দা এবং একাধিক বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের বাড়ির মেসে তল্লাশি চালিয়েছে। মেসে কারা অবস্থান করছে, তাদের পরিচয় ও ঢাকায় থাকার কারণ জানতে চেয়েছে। সবার ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম থানায় দেওয়া হয়েছে কি না তা যাচাই করে গেছে। তবে কোনো ব্যাচেলরকে বাসা ছাড়তে বলা হয়নি।

পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে ব্যাচেলরদের বাসা ছাড়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো সহিংসতা ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই এ নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

রাজধানীর কয়েকটি আবাসিক হোটেলের মালিক এবং ম্যানেজার জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ তাদের বোর্ডার তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার জন্য বলেছে। যারা বোর্ডার হিসেবে হোটেলে অবস্থান করছেন এবং নতুন আসছেন তাদের তথ্য তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা সব বোর্ডারদের তথ্য দিচ্ছেন পুলিশকে।

রাজধানীর একাধিক ব্যাচেলর তাদের বাসায় থাকা নিয়ে অশ্চিয়তার কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, মেসে পুলিশ গিয়ে তল্লাশি করায় তারা অনেকেই ভয়ে রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই ছাত্র এবং চাকরিজীবী। হঠাৎ মেস ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা এলে সবাই বিপদে পড়বেন। গতকাল বিকালে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে মেস ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিদেবদন প্রকাশ হয়। এরপর ব্যাচেলরদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়। অনেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের মুঠোফোনে এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের অনুরোধ জানান।

অপরদিকে গতকাল রাজধানীর বাড্ডা, ক্ষিলখেত, নিকুঞ্জ, মণিপুরিপাড়া এলাকায় বসবাসরত বেশ কয়েকজন ব্যাচেলর পুলিশের বরাতে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ফ্ল্যাট ছাড়ার নির্দেশনা পেয়েছেন। মেস আকারে থাকা আবাসিক ভবনের পাশাপাশি বিভিন্ন হোস্টেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা ছাত্রছাত্রীরা।

কাপ্তানবাজারস্থ আবাসিক হোটেল খন্দকার প্যালেসের মালিক আলহাজ রুহুল আমিন খন্দকার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, শুধু নির্বাচন উপলক্ষে নয়-আমার হোটেলে কখনো কোনো প্রকার অপ্রীতিকর কিছু ঘটে না। কোনো কিছুর ধারে-কাছেও নেই। আমি নিজে প্রতিদিন রেজিস্টার চেক করি। কয়েকদিন আগে পুলিশ এসেও দেখে গেছে তারা কোনো কিছু না পেয়ে সন্তুষ্টচিত্তে ফিরে গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads