• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯
সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

সংঘর্ষের সময় ৩০টি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের গুলিবর্ষণ

  • সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। সংঘর্ষ চলাকালে সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়কে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচলা বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, চলতি বছরের ৩১ মে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে এক সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নিহত হন। এ ঘটনার জের ধরে নিহত জাহিদের চাচাতো ভাই ইউসুফ আকন্দ ও আসামি পক্ষের তোফাজ্জল হোসেন মিলিটারির গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি জাহিদ হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বের হলে আওয়ামী লীগে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তোফাজ্জল মিলিটারির লোকজন ইউসুফ আকন্দকে সোনামুই বাজার থেকে সাহাপাড়ায় ধরে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিপক্ষের ২২টি পরিবারের অন্তত ৩০টি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় উভয়পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। পরে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে বিলাত মেম্বারের ছেলে নাসির উদ্দিনকে পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে। আটককৃতকে স্থানীয়রা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ ও গুলিতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। আহত গুলিবিদ্ধরা হলেন জনি (২০), নুরুল আকন্দ (৭৫), আক্তার (২৮), মারুফ হোসেন (৫৫), শরিফ (৩৫) ও সামছুল আকন্দ (৪৫)। এছাড়া সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর ইউসুফ আকন্দ (৪৫) ও গোলাম মোস্তফাকে (৩৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পিংনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোতাহার হোসেন জানান, ‘তোফাজ্জল মিলিটারি ও তার লোকজন সব সময় এলাকায় নানা বিশৃঙ্খলা করে বেড়ায়। তার নেতৃত্বেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এদের আইনের আওতায় আনা জরুরী।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ‘বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। বিশৃঙ্খলাকারী কেউ আওয়ামী লীগের হতে পারে না। তারা যে-ই হোক এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads