• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
অধ্যক্ষ মাহফুজাকে শ্বাসরোধে হত্যা

ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন

ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ

অধ্যক্ষ মাহফুজাকে শ্বাসরোধে হত্যা

# ঠোঁট ও মুখে আঘাতের চিহ্ন # তিনজনকে আসামি করে মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে (৬০) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মাহফুজার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেকের ফরেনসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই বা ততোধিক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। 

নিহতের হাতের একটি আঙুল ভাঙা। এছাড়া তার ঠোঁট ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেখে মনে হয়েছে তার সঙ্গে অনেক ধস্তাধস্তি হয়েছে। একজনের পক্ষে এ ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে নিউমার্কেট থানার এসআই স্বপন কান্তি দে উল্লেখ করেন, তার মুখে রক্ত ছিল। হাতের কয়েকটি আঙুলে কালো দাগ দেখা গেছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, গত রোববার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। সে সময় নিহতের স্বামী-সন্তানরা বাসায় ছিলেন না।

এদিকে মাহফুজার হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দুই গৃহকর্মীসহ তিনজনকে  আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের স্বামী ইসমত কাদির গামা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, তিনজনকে ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার পর থেকেই দুই গৃহকর্মী স্বপ্না ও রেশমাকে আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই ব্যক্তি স্বপ্না (৩৬) ও রেশমাকে (৩০) ওই বাসায় কাজে দিয়েছিলেন। আমাদের সন্দেহের তীর ওই দুই গৃহকর্মীর দিকেই। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা বিকাল ৫টার দিকে পালিয়ে যায়।

আশা করছি দ্রুত তাদের আটক করা সম্ভব হবে। পুলিশ ছাড়াও র্যাব ঘটনার ছায়াতদন্ত করছে। স্বপ্নার বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও রেশমার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। উল্লেখ্য, রোববার বিকালে নিজের বাসা থেকে মাহফুজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলায় দুটি ফ্ল্যাটে (ডুপ্লেক্স) এই দম্পতির বহুদিনের সংসার। ওপরের অংশটিতে তারা থাকেন। নিচতলায় রান্নাঘর, গৃহকর্মীরা থাকত। তাদের দুই ছেলের একজন সেনাবাহিনীর চিকিৎসক, আরেকজন ব্যাংকে চাকরি করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads