• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ছয় লাখ টাকা না দেওয়ায় ৭ টুকরা

খুলনা ম্যাপ

অপরাধ

ছয় লাখ টাকা না দেওয়ায় ৭ টুকরা

  • খুলনা ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০১৯

খুলনায় সাত টুকরা করা অজ্ঞাত যুবককে হত্যার আগে তার বাবার কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৬ লাখ টাকা দাবি করে খুুনিরা। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলা সদরের উমরা পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৬)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ওই যুবকের পরিচয় উদ্ধার করে পুলিশ।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, খণ্ডিত আকারে উদ্ধার হওয়া দেহের অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান (২৬)। তিনি সাতক্ষীরা সদরের উমরা পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে।

তিনি ইটভাঁটায় শ্রমিক প্রদানের ঠিকাদারি সরদার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত হাবিবুরের পরিবারকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে শনাক্ত করেন। কে বা কারা যুবককে হত্যার পর মরদেহটি ফেলে যান। পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা (সিআইডি), খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।

নিহত যুবকের বাবা আবদুল হামিদ সরদারের বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেড়ানোর কথা বলে নিজের মোটরসাইকেলে খুলনায় গিয়েছিলেন সাতক্ষীরার হাবিবুর রহমান সবুজ (২৬)। তিন দিন পর তার বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সবুজের ফোন থেকে তাদের বাড়িতে একটি কল আসে। ফোনের ওই প্রান্ত থেকে বলা হয় ‘সবুজকে আমরা বেঁধে রেখেছি। ছয় লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে’। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সবুজের মরদেহ নিতে খুলনায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

নিহতের বাবা আবদুল হামিদ সরদার জানান, সবুজ ঢাকায় লেখাপড়া করে। কয়েক দিন আগে ক্যানসার আক্রান্ত মা জাহানারা খাতুনকে দেখতে বাড়ি এসেছিল সে। গত মঙ্গলবার সকালে তার মাকে জানিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে খুলনায় যায়। পরদিন ফিরে আসার কথাও বলেছিল সে। বৃহস্পতিবার তার খোঁজ জানতে খুলনায় ফোন করা হলে সাদি নামের এক ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করে জানায় ‘সবুজ মোস্তফা মামার সঙ্গে যশোর গেছে’। এর পর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি জিডি করেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর শেরেবাংলা রোডের বলাকা ক্লাবের বিপরীতে ড্রেনের পাশ থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহের একটি বড় অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মাথা, দুই পা ও দুই হাত ছিল না। পরে দুপুরে ফারাজিপাড়ায় সমাজসেবা অফিস-সংলগ্ন ড্রেন থেকে আরো দুটি ব্যাগে থাকা মাথাসহ অন্যান্য অংশ উদ্ধার করা হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads