লামায় নির্বিচারে পাথর উত্তোলন ও পাচারের সঙ্গে জড়িত ২৫ জন পাথর ব্যবসায়ীকে আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা করেছে পরিবেশ অধিপ্তর বান্দরবান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত- ২০১০) এর ধারা ৪(২), ৬(খ), (ঙ) এবং ১২ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
লামা থানার ওসি অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, বুধবার (১৯ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান এর পরিদর্শক নাজনীন সুলতানা নীপা বাদী হয়ে মামলা দুইটি করেন। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর অংশের জন্য করা মামলায় ৯ জনকে ও ইয়াংছা অংশের জন্য করা মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া দুই মামলায় ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা দুইটি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বনপুর অংশের জন্য করা মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- মো. মহিউদ্দিন (৪১), জামাল উদ্দিন ফকির (৫৫), হুমায়ন কবির (৫০), ওমর হামজা (৪৮), মনু মেম্বার (৫৫), মো. এনাম (৪০), মো. ফরহাদ (৪২), মুছলে উদ্দিন (৪৮) ও গিয়াস উদ্দিন (৪৫)।
ইয়াংছা অংশের জন্য করা মামলায় আসামিরা হলেন- ইউনুস সর্দার (৬৫), মনসুর ড্রাইভার (৫০), হোসেন ড্রাইভার (৩৫), মো. হামিদ (৩০), ইলিয়াছ (৩৫), অহিদ (৩৫), মো. মোস্তফা কামাল ছোট্টু (৪০), মো. মিজান (৩৫), নাজিম উদ্দিন মাষ্টার (৪৫), মুজিবুর রহমান (৪৮), মো. মুমিন (৪০), লোকমান (৩৮), মো. ওসমান (৩৫), আনছার উদ্দিন (৩৬), রোমেশ (৩৩) ও মো. ইউসুফ (৩৩)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মামলা থেকে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীদের নাম বাদ পড়েছে। এছাড়া দুই মামলার আসামিরা ইয়াংছা ও বনপুর অংশে ৫ লাখ ঘনফুট মজুদ পাথর নিয়ে যাচ্ছে।
মামলার বাদী নাজনীন সুলতানা নীপা বলেন, গত ১২ জুন লামা উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লামা উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে দেখা যায়, পুরো বছরে বনপুর ও ইয়াংছা এলাকায় হতে মোট ১৮ লাখ ঘনফুট পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ পাথর পাচার হয়ে গেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সিনিয়র কেমিস্ট এ.কে.এম ছামিউল আলম কুরসি বলেন, মামলার কার্যক্রম চলমান থাকবে। আগামীতে আরো কেউ যদি অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাচারের সাথে জড়িত হয় জানা গেলে তাদের বিরুদ্ধেও পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে।
