টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ছেলেধরা সন্দেহে মিনু মিয়া (৩০) নামের এক ভ্যান চালককে গণপিটুনির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২১ জুলাই কালিহাতী উপজেলার সয়া হাটে ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটুনিতে ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ী গ্রামের ভ্যান চালক মিনু মিয়া গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। মিনুর ভাই রাজিব হোসেন বাদি হয়ে সোমবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার নাগা চৌধুরীবাড়ী গ্রামের মৃত তরিকুল আলম সিদ্দিকীর ছেলে মাইনুল হক হিটু (৩৭), সন্তোষ চন্দ্র মালোর ছেলে প্রভাত চন্দ্র মালো (১৯), আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে শিশির আহম্মেদ খান (৩২), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান তালুকদার (৪৭), আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে ওমর (৩২) এবং পালিমা গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে আলামিন ইসলাম (১৯)। তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কোর্ট পরিদর্শক তানবীর আহমেদ বলেন গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন করে। পরে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই জেলার তিন উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার তিনজন। কালিহাতী উপজেলা নারান্দিয়ার সয়া হাটে গণপিটুনিতে আহত ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ী গ্রামের ভ্যান চালক মিনু মিয়া, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের কান্দিলা গ্রামে আহত হন গাজিপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আকাশ ও ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া ব্রীজ এলাকায় গণপিটুনিতে আহত হন সিংগুরিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে কাভার্ড ভ্যান চালক সোহরাব (৩২)।