• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
নাফনদী সীমান্তে এক রাতেই ৭ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

নাফনদী সীমান্তে এক রাতেই ৭ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার

  • টেকনাফ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুলাই ২০১৯

টেকনাফ সীমান্ত পথ ব্যবহার করে এখনো পাচার হয়ে আসছে মিয়ানমারে উৎপাদিত মাদক ইয়াবা। পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা যতই কঠোর হচ্ছে, মাদক কারবারে জড়িতরা ততই ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদক পাচার অব্যাহত রেখেছে। এরপরও  টেকনাফ সীমান্ত থেকে মাদকপাচার প্রতিরোধে করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সদস্যরা কঠোর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।

সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
কারন পাচারকারীরা কোস্টগার্ডের উপস্থিতি আগেই টের পেয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। 

জানা যায়, গতকাল ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ নদীর উপর গড়ে উঠা জালিয়ারদ্বীপ (জাইল্যারদ্বীপ) সংলগ্ন কেওড়া বাগান এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এই ইয়াবা গুলো উদ্ধার করা হয়।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ কোস্টগার্ডের দায়িত্বরত স্টেশন কমান্ডার লে. মোঃ সোহেল রানা জানান, গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমি কোস্টগার্ডের একটি বিশেষ টিম নিয়ে নাফ নদীতে অবস্থান নেই। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদক পাচারে জড়িত চোরাকারবারীরা একটি নৌকাযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে থাকে এই সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে থামতে বললে পাচারকারীরা নৌকাটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে সুকৌশলে সাঁতরে পালিয়ে যায়। এরপর কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটি পানির ভিতর থেকে উদ্ধার করে তল্লাশি চালিয়ে ৭ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরো জানান, টেকনাফ সীমান্ত পথ ব্যবহার করে যে সমস্ত মাদক কারবারীরা এখনো ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads