• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল মুমিনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া মীরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল মুমিন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেড় গ্রামের হাজী আমিনুল ইসলামের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওহিদুল ইসলামের জানান, ২০১৮ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া কওমী মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন মুফতি আব্দুল মুমিন। চাকরি করার সময় ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মাদরাসার ১ম শ্রেণির এক ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই ছাত্রকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক লুৎফুল কবির জানান, প্রায় দেড় বছর আগে বলাৎকারের ঘটনা ঘটলেও প্রাণভয়ে ওই ছাত্র বিষয়টি গোপন রাখে। কিন্তু গত ২৪ জুলাই আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদরাসাছাত্র আবির হুসাইনকে মাথাকেটে হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের কাছে মুখ খোলে নির্যাতিত ওই ছাত্র।

বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রের চাচা সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: কলিমুল্লাহ জানান, বলাৎকারের ঘটনায় মামলা দায়ের হবার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। সোমবার দিনভর জেলার বিভিন্ন স্থানসহ মেহেরপুরের গাংনী এলাকায় অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। এরপর গোপন সংবাদের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম, ইবনে খালিদ ও রাজীব হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা আমলা সদরপুর এলাকা থেকে হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল মুমিনকে গ্রেপ্তার করে।

পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads