ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের টাকা পয়সা জমিয়ে বাড়ি গাড়ির করার কোনো নেশা ছিল না। তবে জুয়া খেলাই ছিল তার একমাত্র নেশা। সিঙ্গাপুরে তিনি জুয়া বা ক্যাসিনো খেলতে যেতেন।
আজ রোববার দুপুরে সম্রাটের মহাখালীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তার স্ত্রী শারমিন সম্রাট চৌধুরী এ কথা বলেন।
সম্রাটের সম্পদ প্রসঙ্গে শারমিন বলেন, সম্রাটের বাড়ি-গাড়ির প্রতি কোনো নেশা ছিল না। মহাখালীর বাড়ি ছাড়া আর কোনো বাড়ি নেই। বাড্ডায় তাঁর আগের স্ত্রী থাকেন। সম্রাট থাকেন কাকরাইলে। গত দুই বছর মহাখালীর বাসায় তিনি যেতেন না। কেননা, সম্রাটের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। এ কারণে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারতেন না।
শারমিন বলেন, সম্রাট সবার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতেন। সংগঠনের ছেলেদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করতেন। মানুষকে সাহায্য–সহযোগিতা করতেন। গ্রেপ্তার খালেদের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শামীমের সঙ্গে কখনও তাকে দেখেননি চলতে।
আত্মগোপনের সময় তার সাথে সম্রাটের যোগাযোগ ছিল না এমটিই দাবি শারমিনের। তবে সম্রাটকে গ্রেপ্তারের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তিনি।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে আর নিজের বাসায় যাননি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট। কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনের আট তলা দখলে নিয়ে সেখানেই থাকেন। মাসের শুরুতে স্ত্রী শারমিন চৌধুরীকে মাস খরচার টাকা পাঠান সম্রাট।