• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
হাতীবান্ধায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

হাতীবান্ধায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

  • হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ অক্টোবর ২০১৯

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবি পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি)‘র সভাপতি আব্দুল মজিদ ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ এনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পর উক্ত বিদ্যালয় অফিস কক্ষে অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার একেএম তাজিবর রহমান অভিযোগের তদন্তকার্য পরিচালনা করেন। এসময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধীক সদস্য সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলাম ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের শিশু শ্রেণির উপকরণ সামগ্রী ক্রয় বাবদ সরকারি বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। একই অর্থ বছরে প্রধান শিক্ষক স্লীপের ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন কিন্তু কোন খাতে ব্যয় করেছেন তার হিসাব নেই। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তার খেয়াল খুশিমত তিনি বিদ্যালয় যাতায়াত করেন। এতে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, ব্যহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার গুনগতমান। এছাড়াও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ওই প্রধান শিক্ষক বিল উত্তোলন করেছেন বলে অপর এক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী পশ্চিম সারডুবি পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, আমি উক্ত তদন্ত অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলামে বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছি। এ ছাড়াও তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছে অভিযোগের স্বপক্ষে আরও কিছু কাগজপত্র চেয়েছেন। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আগামী রবিবার সেই কাগজপত্র আমি তদন্ত কর্মকর্তার নিকট পৌছে দিব।

এ বিষয়ে পশ্চিম সারডুবি পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তেমন নয়। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির সাথে আমার ভুল বুঝাবুঝি মাত্র।

সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম তাজিবর রহমান জানান, পশ্চিম সারডুবি পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসএমসি‘র সভাপতির দাখিলকৃত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তদন্ত অব্যহত রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads