কুষ্টিয়ার খোকসায় সৎ মামার হাতুড়ির আঘাতে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক মামা প্রদীপকে কুমারখালী থানা পুলিশ আটক করেছে। তবে ওই সৎ মাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গ্রামবাসী।
নিহত পূজা উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের মুদি দোকানী গৌতম কুমার দেব ওরফে হারুনের একমাত্র মেয়ে। সে শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, স্কুলছাত্রী পূজা রানী নিজের ঘরের মেঝেতে বসে খাবার খাচ্ছিল। এ সময় সৎ মায়ের ভাই প্রদীপ পেছন থেকে তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় পূজার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতক মামা পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে এ ঘটনায় সৎ মা সুচিত্রা ও মামা প্রদীপের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে।
তবে সৎ মা সুচিত্রার দাবি, তিনি প্রতিদিনের মতো স্বামীর খাবার নিয়ে শোমসপুর বাজারে যান। এ সময় পূজা এক বান্ধবীর সঙ্গে বাড়িতে গোসল করছিল। তিনি বাড়ি ফিরে মেয়েকে আর দেখেননি। শুনেছেন মেয়েকে কে বা কারা হত্যা করে ঘরে ফেলে গেছে।
নিহত পূজার বাবা গৌতম কুমার দেব বলেন, পরিকল্পিতভাবে সুচিত্রা তার ভাইকে দিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন।
এলাকাবাসী জানায়, পূজার জন্মের কয়েক বছর পর তার মা মারা গেলে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। শুরু থেকে সৎ মায়ের সঙ্গে পূজার সম্পর্ক ভালো ছিল না।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক প্রদীপকে আটক করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে জানা যাবে কারা কারা এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত।