• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সরিষাবাড়ীতে শিশুকন্যাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার তথ্য ফাঁস, সৎমা আটক

পুলিশের হাতে আটক রিনা আক্তার (২৬)

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

সরিষাবাড়ীতে শিশুকন্যাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার তথ্য ফাঁস, সৎমা আটক

  • জামালপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০২০

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শিশুকন্যাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎমা আটক হয়েছে। অভিযুক্ত সৎমা রিনা আক্তার (২৬) শিশুকন্যাকে ডোবায় ফেলে হত্যার পর পানিতে ডুবে নিহতের খবর প্রচার করে।

শুক্রবার (১২ জুন) রাতে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামের নিজবাড়ি  থেকে থানা পুলিশ তাকে আটক করে। শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে মাজালিয় (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কনা আক্তারকে (৪) ঘরের পাশে একটি ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন। শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার সৎমা রিনা আক্তার শিশুটি পানিতে পড়ে নিহত হয়েছে- মর্মে এলাকায় প্রচার করে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় সৎমাকে ঘিরে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে শিশুটির বাবার মৌখিক  অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সৎমাকে পুলিশ আটক করে থানায় নেয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

নিহত শিশুর বাবা আবুল কালাম জানান, দুই বছর আগে তার প্রথম স্ত্রী সালমা বেগম শারীরিক অসুস্থ্যতায় মারা যান। তারপর তিনি মাজালিয়া গ্রামের ঈমান আলীর মেয়ে রিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তার গর্ভে কোনো সন্তান না হওয়ায় সে প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে সহ্য করতে পারতো না। এ আক্রোশে সে তার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু মো. ফজলুল করীম জানান, শিশু কনা আক্তার পানিতে পড়ে মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা রিনা আক্তার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সৎমা শিশুটিকে টিউবয়েলপাড়ে ডেকে নিয়ে গলাটিপে হত্যার করে। তারপর তার মৃতদেহ পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা আবুল কালাম বাদি হয়ে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতকে শনিবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads