• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রামে বন্ধুকে খুন করে মাটি চাপা, ২ দিন পর লাশ উদ্ধার

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

চট্টগ্রামে বন্ধুকে খুন করে মাটি চাপা, ২ দিন পর লাশ উদ্ধার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ আগস্ট ২০২০

চট্টগ্রামে বন্ধুকে হত্যা করে নিজ ঘরে মাটি চাপা দেয়ার দুইদিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের শ্রমিক নেতা মছিউদৌলার বাড়ির লাল মিয়ার ভাড়া বাসায়।

শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ ঘাতক রুমেন মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। খবর ইউএনবির।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নুর উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ধারাল ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নিজ ঘরে গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলে রুমেন মিয়া। তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।

পুলিশ জানায়, রুমেন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত রিকশা চালক। সে প্রায় এক বছর ধরে নুর উদ্দিনের ঘরে থেকে রিকশা চালাতো। খাওয়া ও থাকা বাবদ সে মাসে মাসে নুর উদ্দিনকে খরচও দিতো। তবে গত রমজানের পর থেকে রুমেন নুর উদ্দিনকে খরচ দেয়া বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে মাঝে মাঝে দুজনের মধ্যে তর্ক-বির্তক হতো।

নিহত নুর উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার স্বামীর সাথে রুমেনের ঝাগড়া হয়। তারা দুইজন এক রুমে ঘুমাতো, আমি আরেক রুমে ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঘুমাতাম। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে পাশের রুম থেকে শব্দ পেয়ে আমি গিয়ে দেখি আমার স্বামীকে ধারাল ছুরি দিয়ে খুন করেছে। এসময় সে আমাকে এবং সন্তানদেরও খুন করবে বলে হুমকি দেয়। রাতে পাশের একটি মুরগী রাখার ঘরে গর্ত করে মাটিতে আমার স্বামীর লাশ পুঁতে রাখে রুমেন।’

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর শুক্রবার ও শনিবার সারাদিন স্বাভাবিকভাবে রুমেন রিকশা চালায়। ‘কিন্তু আমি বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে আমাদের ভাড়া ঘরের মালিককে জানাই।’

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কয়েকজন মিলে রুমেনকে আটক করে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাকিম আরজুকে জানালে তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ উক্ত বিষয়টি থানাকে অবহিত করলে প্রথমে ফৌজদারহাট ফাঁড়ির এসআই নুর নবী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। রুমেন পুলিশের কাছে নুর উদ্দিন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রাতে সহকারী পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) শম্পা রানী, মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা এবং ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এসময় আটক রুমেনের স্বীকারোক্তিতে মাঠিতে পুঁতে ফেলা লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ধারাল ছুরি এবং মাটি খোঁড়ার বেলচা উদ্ধার করে।

মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক আসামি রুমেন মিয়ার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘরের ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads