নোয়াখালীতে বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতনের ঘটনায় শাহেদ নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রিমান্ডে থাকা আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হেসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হেসেন জানান, রিমান্ডে থাকা আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (৭ অক্টোবর) গভীর রাতে শাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ৫ জন। অন্যদের রিমান্ডে থাকা আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা পেলে মামলায় তাদেরও আসামি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হবে। এছাড়া এ মামলা তদারকির জন্য জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত এক বছরে দেলওয়ার বাহিনীর প্রধান দেলওয়ার ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই দফায় ধর্ষণ করে। আর দেলওয়ারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে তার বাহিনীর অন্যতম সদস্য আবুল কালাম। দেলওয়ার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হওয়ায় তিনি ভয়ে সেসময় বিষয়টি কাউকে জানাননি।
এরই মধ্যে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে দেলওয়ার বাহিনীর সদস্যরা ওই নারীর ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে বেঁধে রেখে তাকে বিবস্ত্র করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং তা মোবাইল ফোনে ধারণ করে।
এক পর্যায়ে গত ৪ অক্টোবর ধারণ করা ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। ভাইরাল হওয়ার পর টনক নড়ে প্রশাসনের। পরে এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় দেলওয়ার বাহিনীর অপর এক সদস্য বাদলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা দায়ের করেন।