সিলেটের বিশ্বনাথে নিখোঁজের একদিন পর ডোবা থেকে রবিউল ইসলাম (১২) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রহমাননগর গ্রামের আকবর আলীর পুত্র এবং স্থানীয় গোয়াহরী লতিফিয়া ইর্শাদিয়া দাখিল মাদাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।
মঙ্গলবার রামপাশা বৈরাগী বাজার সড়কের বাল্লার ব্রীজের পাশের ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে গেছে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় সে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে ওইদিন সন্ধায় বিশ্বনায় থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয় এবং উপজেলার সকল স্থানে হারিয়েছে মর্মে মাইকিং করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় রামপাশা-বৈরাগী বাজার সড়কের বাল্লার ব্রীজের পাশের ডোবায় রবিউলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক কৃষক। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের পিতার অভিযোগ, তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার এসআই দেবাশীষ শর্মা বলেন, ধারনা করা হচ্ছে, কেউ তাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে রেখেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।