কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এগারো বছর বয়সী এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে ও গলায় ছুরি ধরে জোর পূর্বক বলাৎকারের অভিযোগে আনা মিয়া (৫০) নামের এক পান ব্যবসায়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার পেরিয়া ইউপির উত্তর শাকতলী (চাতিয়াপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সে একই গ্রামের মৃত. সোলতান আহাম্মদের ছেলে। পরে তাকে আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ওই মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রটি পেরিয়া ইউপির উত্তর শাকতলী গ্রামে আল বাশারাতের নামের একটি পরিত্যাক্ত মাছের প্রজেক্টে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা আনা মিয়া ছাত্রটিকে চকোলেট ও টাকার লোভ দেখায়। এক পর্যায়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে দড়ি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ও গলায় ছুরি ধরে জোর পূর্বক বলাৎকার করে। পরে এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠক বসে।
তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খন্দকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই শালিস বৈঠক আনা মিয়াকে গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে রোববার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে শালিস বৈঠকে অভিযান চালিয়ে আনা মিয়াকে গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে বলাৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেন। সোমবার ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা শেষে ও জবানবন্দি রেকর্ড করা আদালতে মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।