• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
চাঞ্চল্যকর জনি হত্যা মামলার ৩ আসামি এখনো অধরা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

চাঞ্চল্যকর জনি হত্যা মামলার ৩ আসামি এখনো অধরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ নভেম্বর ২০২০

রাজধানীর খিলক্ষেতের চাঞ্চল্যকর জনি হত্যার ঘটনার মাস হতে চললেও ৩ আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড সেটির রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও পুলিশ মামলাটি নিয়ে তালবাহনা করছে বলে অভিযোগ মামলার বাদির।

তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন, গ্রেপ্তার আসামিরা মামলা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।

জানা যায়, রাজধানীর খিলক্ষেত মাস্তুল এলাকার একটি বালুর গদি থেকে মো. জনি মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে দুলাল এন্টারপ্রাইজ নামের ওই বালুর গদির ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। ১৩ অক্টোবর রাত পৌনে চারটার দিকে খিলক্ষেত থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।

জানা যায়, মাত্র ১৫ দিন আগেই সে ওই বালুর গদিতে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি নেন। ১২ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় সে বাসা থেকে কাজে যায়। এরপর রাত তিনটার দিকে একজন আমাদের বাসায় এসে জানায় জনি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। পরে সেখানে গিয়ে জানিকে মৃত অবস্থা পড়ে থাকতে দেখতে পাই।

জনি সেন্ট্রাল পলিটেকনিকের ছাত্র ছিল। করোনাকালীন সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরিবারের ভরনপোশনের জন্য সে ওখানে চাকরি নেয়।

ঘটনার পরের দিন ১৩ অক্টোবর জনির পিতা জাইদুল মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭জনকে এজাহারনামী আসামি করেন তিনি।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জনি চাকুরিতে যোগদান করার পর থেকে সে বলে আসছিল চাকুরি করবেনা। তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে । ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে যাওয়ার পর আর ফিওে আসেনি।

তিনি অভিযোগ আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে।

এদিকে তিনি বলেন, মামলার পর থেকে পুলিশ তাকে রহস্যজনক কারণে কোন সহযোগীতা করছেনা। এজাহারনামীয় ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এনে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া কোনটিই করছেনা।

তিনি অভিযোগ করেন, একটি হত্যা মামলার আসামি একদিন একদিন করে মোট ২ দিন রিমান্ডে এনেছে। রিমান্ডে এনে কি করেছে সেটা পুলিশ জানে।

তিনি অভিযোগ করেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর থেকে আসামির লোকজন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমন কথা পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।

অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম বলেন, মামলা নিয়ে গড়িমসি করার কোন সুযোগ নাই। ৭ আসামির মধ্যে আমরা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। তারা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই বাছাই চলছে।

তিনি আরো বলেন, বাকি এজাহারনামীয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads