• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

সিনহা হত্যার মূলহোতা প্রদীপ

  • ইমরান আলী
  • প্রকাশিত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

ইয়াবা বাণিজ্যসহ থানার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য জেনে যাওয়ার কারণেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে। আর এ হত্যায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) প্রদীপ কুমার দাশ।

গতকাল রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অভিযোগপত্র দাখিলের পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটায়িন (র্যাব) মামলাটির তদন্ত নিয়ে কারওয়ানবাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ইয়াবা বাণিজ্য ও নির্যাতনের নানা কাহিনী জেনে যাওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে থানায় বসে ওসি প্রদীপসহ পাঁচজন মিলে এই হত্যার পরিকল্পনা করেন। ইয়াবা পাচারের বিষয়ে প্রদীপের বক্তব্য নিতে চান সিনহা, এতেই মূলত ক্ষিপ্ত হয় ওসি প্রদীপ। পরে টেকনাফ থানাতে প্রদীপের নেতৃত্বে একটি মিটিং হয়। সেই মিটিং থেকেই ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে সিনহা হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সিনহা হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ। সেখানে ওসি প্রদীপ অস্ত্র ও নির্যাতনের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করে অনৈতিক কাজ করেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার সাক্ষী, আলামত, আসামিদের জবানবন্দির মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠভাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস। হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রদীপ কুমার দাসের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করেন অপর আসামি লিয়াকত আলী, মো. নুরুল আমিন, পুলিশের সোর্স মুহাম্মদ আয়াজ ও মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন। আবার লিয়াকত আলীকে সহযোগিতা করেন আরেক পুলিশ সদস্য নন্দ দুলাল। পাশাপাশি এপিবিএনর তিন সদস্যের সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ওই ফাঁড়ির আরো পুলিশ সদস্য সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতে এবং ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

চার মাস দশ দিন অর্থাৎ ১৩০ দিন মামলাটির তদন্তের পর রোববার মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিল র্যাব। মামলায় সর্বমোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়জন টেকনাফ থানার বরখাস্ত পুলিশ সদস্য, তিনজন এপিবিএন সদস্য এবং স্থানীয় তিনজন বেসামরিক লোক রয়েছেন। যাদের ১৪ জনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন এবং সাগর দেব নামে একজন পুলিশ সদস্য পলাতক রয়েছেন।

আশিক বিল্লাহ বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারি প্রদীপ কুমার দাস। হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে ওসি প্রদীপ বাকি অভিযুক্তদের সহযোগিতা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ২৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তিনি জানান, মেজর সিনহা একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করার কারণে তিনি কক্সবাজার এলাকায় ভিডিও ধারণ করছিলেন। এসময় তার সঙ্গে স্থানীয়দের সখ্য গড়ে ওঠে। সেসময় ওসি প্রদীপের নির্যাতনের ঘটনা এবং ইয়াবা বাণিজ্য সম্পর্কে তথ্য পান। এই বিষয়ে ওসি প্রদীপের বক্তব্য নিতে সিনহা থানায় যায়। ইতোমধ্যে ওসি প্রদীপ সিনহা সম্পর্কে সবকিছু জেনে যাওয়ায় তাকে বক্তব্য না দিয়ে উল্টো সরাসরি হুমকি দেন। সেইসঙ্গে এই কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু ওসি প্রদীপের কথা না শুনায় মেজর সিনহাকে হত্যা করা হয়।

আশিক বিল্লাহ বলেন, যেহেতু ওসি প্রদীপ টেকনাফে একটি রাজ্য গড়ে তুলেছিল আর সেটা যাতে কর্তৃপক্ষকে না জানান সেই জন্য ওসি প্রদীপ সরাসরি হুমকি দেয়। কিন্তু সিনহা তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন। এই কারণে ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও তার সহযোগীরা হত্যার মতো ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

গতকাল রোববার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে র‍্যাব। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১২ জন দোষ স্বীকার করে আদালতের অনুকম্পা চেয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে মেজর (অব) সিনহা ওসি প্রদীপের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি আগে সিনহাকে হুমকি দেয় ও পরে হত্যা করে। ‘জাস্ট গো’-এর জন্য ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র ধারণের এক পর্যায়ে স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে ইয়াবা কারবারে প্রদীপের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পান সিনহা। সঙ্গে প্রদীপের বহুমুখী নির্যাতনের তথ্যও পান তিনি। এ নিয়ে টেকনাফ থানাতেই প্রদীপ সিনহাকে হুমকি দেন।

সিনহা সামান্য ক’দিনেই প্রদীপের ত্রাসের রাজত্বের সন্ধান পেলেও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কেন তা জানত না, এটা ব্যর্থতা কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব এর দাবি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ব্যর্থ তা তারা মনে করেন না।

গত ৩১ জুলাই টেকনাফে মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাহেদুল ইসলাম সিফাত। হত্যার পর সিনহারা যে রিসোর্টে ছিলেন সেখানে তল্লাশি করে পুলিশ। মদ ও গাঁজা রাখার অভিযোগে সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। আর সিফাতের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে পুলিশ। রিসোর্ট থেকে আটক করা হয় শিপ্রার আরেক সহযোগী তাহসিন রিফাত নুরকে। পরে নুরকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।

এদিকে সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফের বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেছিলেন। টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ মোট নয় পুলিশ সদস্যকে এ মামলায় আসামি করা হয়। বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র্যাবকে।

আদালতের নির্দেশে সিনহার বোনের করা মামলার তদন্ত করে র্যাব। এ ছাড়া এই ঘটনার তদন্তে গত ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৬৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রশাসনিক ওই তদন্তে কক্সবাজারে চেকপোস্টে পুলিশের ভূমিকা অপেশাদার ও হটকারী বলে মন্তব্য করা হয়। ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বেশকিছু সুপারিশ করেন তারা। প্রশাসনিক ওই তদন্তের পর এখন ফৌজদারি অপরাধের ঘটনায় চার্জশিট দাখিল হচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, র্যাবের তদন্তে উঠে এসেছে, চেকপোস্টে এই ঘটনা ছিল ‘পরিকল্পিত’। ওসি প্রদীপ নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এর আগে এই প্রশ্নের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

জানা গেছে, সিনহা হত্যার ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলার বাদী ছিল পুলিশ। ঘটনার পরপরই ওই মামলা করেছিল পুলিশ। পুলিশের মামলায় আসামির তালিকায় সিনহাও ছিলেন। পরে সিনহার বোন আদালতে একটি মামলা করেন। সব মিলিয়ে সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় মোট চার মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। এরপর একে একে সিনহার বোনের করা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ ১০ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের একাধিক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশের ১০ সদস্যের বাইরে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। তারা পুলিশের করা মামলায় সাক্ষী ছিলেন। ওই তিনজন হলেন- নুরুল আমিন, আয়াছ উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন। তারা তিনজনই অনেক দিন ধরে টেকনাফে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তিন সোর্স কেন কী কারণে সিনহা ও তার সহযোগীকে ডাকাত বলে বিশ্বাস করেই লিয়াকতকে ফোন করেছিলেন, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হয়েছে। মারিশবুনিয়ার একজন ইমামসহ দুই প্রত্যক্ষদর্শী তিন সোর্সকে নিশ্চিতও করেছিলেন পাহাড়ে যারা উঠেছিলেন, তারা ডাকাত নন। ঘটনার দিন বিকেলে পাহাড়ে ওঠার সময় তাদের দেখেছেন তারা। এর পরও তিন সোর্সের কথাই গ্রহণ করেন লিয়াকত।

তদন্তে উঠে আসে, মূলত টেকনাফের যে চেকপোস্টে ঘটনা ঘটেছিল সেখানে কর্মরত ছিলেন এপিবিএনের সদস্যরা। ঘটনার রাতে পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল ঘটনাস্থলে এসেই চেকপোস্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তারা সিনিয়র ছিলেন। ঘটনার সময় লিয়াকত ও নন্দ দুলাল মারমুখী ছিলেন। সূত্র জানায়, লিয়াকত জানিয়েছেন, তার গুলিতেই সিনহা মারা গেছেন। যখন গুলি করা হয়, তখন সিনহার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।

তদন্ত চলাকালে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের জানান, হঠাৎ তারা চারটি গুলির শব্দ পান। স্থানীয় বায়তুল নূর জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন তাদের অনেকে। তখনই এমন গুলির শব্দ কানে আসে। গুলির পরপরই ওপরের বাজার থেকে অনেক লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে আসতে থাকে। আর সেখানকার পুলিশ সদস্যরা কাউকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধা দেননি। তারা বলছিলেন, ‘সবাই আসেন, দেখেন; ডাকাত মাইর্যা ফালাইছি।’

তদন্ত সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, লিয়াকত ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জানা ছিল যে, পাহাড়ে একটি ‘ভিডিও পার্টি’ (সিনহার টিম) আসা-যাওয়া করছে। ঘটনার কয়েক দিন আগে স্থানীয়দের কাছে লিয়াকত এবং ওসি খোঁজ নিয়েছিলেন, ‘ভিডিও পার্টি’ পাহাড়ে কী করছে। পাহাড়ে তাদের কাজের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয় গ্রামবাসী এ ধরনের তথ্য সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন। ভিডিও পার্টির কাজের ব্যাপারে অজানা ভয় ছিল প্রদীপের।

সিনহার ঘটনার পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ কক্সবাজারে যান। সেখানে তারা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে দুই বাহিনীপ্রধান ঘটনটি ‘বিচ্ছিন্ন’ বলে মন্তব্য করেন।

এই ঘটনায় ঢাকায় রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছিল অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠন। তারা সিনহার হত্যার বিচার দাবি করেন। পরে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। এরপর সিনহার ঘটনায় ওসিদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এবং রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়।

এদিকে সিনহা মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি ঘিরে কক্সবাজারের পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হয়। তৎকালীন এসপিসহ জেলার সব পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছিল। বদলির ক্ষেত্রে এমন নজির ছিল বিরল।

যারা গ্রেপ্তার :  সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য- এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, আয়াছ উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন। তাদের মধ্যে দুই থেকে তিনজন ছাড়া সবাই আসামির তালিকায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads