• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

দিনে শ্রমজীবী রাতে ডাকাত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দিনের আলোতে তারা শ্রমজীবী খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষ। কিন্তু রাত হলেই তাদের অন্য রূপ। রাত যত গভীর হয় ততই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। প্রথমে ছিনতাই, তারপর সারা রাত চলে ডাকাতির মিশন। দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে আবারো পাল্টে ফেলে খোলস। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে বহুরপী ডাকাত দলের এ রকম ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বের হয়ে আসে এসব তথ্য।  গ্রেপ্তাররা হলো-শাওন আহম্মেদ জয়, জাহিদুল ইসলাম, ইয়ামিন, হূদয় ও বাবুল। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহূত দুটি পিকআপ, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু, টাকা ও ১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা ছদ্মবেশী ডাকাত দলের সদস্য। তারা সবাই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বসবাস করে। দিনের বেলায় সেখানেই তারা কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউবা ডেকোরেটর কর্মী কিংবা হোটেল বয়ের কাজ করে। রাতের বেলায় তারা সবাই একত্রিত হয়ে গঠন করে ডাকাত দল। প্রথমে তারা রাজধানী এবং আশপাশের এলাকা থেকে পিকআপ বা ছোট ট্রাক ছিনতাই করে। ছিনতাই করা সেই গাড়ি দিয়ে তারা ভোর রাত পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালী, এমইএস, শাহআলী, মিরপুরের গুদারা ঘাট, শেরেবাংলা নগরসহ সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ এবং ভুলতা এলাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, গত ২৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুই ব্যক্তিকে ৬-৭ জনের একটি ডাকাতদল পিকআপ দিয়ে গতিরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। ওই মামলার তদন্তের সূত্র ধরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনাল টিম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তেকে গত মঙ্গলবার ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও দস্যুতার অভিযোগও আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads