• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চুরির পর তৈরি করত গাড়ির নকল কাগজও

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

চুরির পর তৈরি করত গাড়ির নকল কাগজও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২১

টার্গেট করা গাড়ির নকল চাবি বানিয়ে গাড়ি স্টার্ট করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার বা কাঁচপুর, এরপর এই রুটের সীমান্ত এলাকার দুর্গম কোনো স্থান। পরবর্তীসময়ে গাড়ির নতুন মালিক বানিয়ে সমস্ত নকল কাগজ বানিয়ে বিক্রি করত একটি চক্র।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটটি চোরাই গাড়িসহ এই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলো-নূরুল হক, আব্দুল আলিম ওরফে ইমন, হূদয় পাঠান ওরফে উজ্জ্বল পাঠান ও এ এইচ রুবেল।

গত শনিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি মিরপুর বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম।

এ সময় তাদের কাছ থেকে আটটি চোরাই প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি রাজধানীর কাফরুল, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীসময়ে কাফরুল থানায় দায়ের করা একটি মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি জানায়, এ চক্রের সদস্যরা বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গাড়ি চুরি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। প্রথমে ২-৩ জনের একটি গ্রুপ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে টার্গেট গাড়ি খুঁজতে থাকে। টার্গেট করা গাড়ি পেলে সময় ও সুযোগ বুঝে কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে নকল চাবি দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, পূর্বাচল বা কাঁচপুর ব্রিজের দিকে।

এ সময় চোরাই গাড়ির সামনে ও পেছনে বাইকে বা অন্য কোনো গাড়িতে এ চক্রের অন্য সদস্যরা থাকে। এরপর সেখান থেকে তাদের একজন দক্ষ ড্রাইভার গাড়িটি নিয়ে চলে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ বা মৌলভীবাজারের চোরাই গাড়ি বিক্রির সিন্ডিকেটের কাছে।

সেখান থেকে অন্য ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে চলে যায় সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায়। এরপর সেখানে বিআরটিএর সিল-স্বাক্ষর জাল করে গাড়ির নকল কাগজপত্র তৈরি করা হয়। মূল মালিকের নামের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয় নকল দলিল অথবা আদালতের সই স্বাক্ষর সংবলিত নিলামের নকল কাগজপত্র।

আর সেসব গাড়ি সহজ-সরল লোকদের কাছে অনেকটা কম মূল্যে বিক্রি করে দেয়। এ ছাড়া এ চক্রের সদস্যরা কিছু কিছু চোরাই গাড়ি দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা বহন করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিত।

আটকদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে এ বিষয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলেও জানান ডিবি কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads