• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
টাকার জন্যই মামলা করেছিলেন নুসরাত?

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

টাকার জন্যই মামলা করেছিলেন নুসরাত?

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ মে ২০২১

মুনিয়ার মৃত্যুর পর কি কারণে চটজলদি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন নুসরাত? এই প্রশ্নেই এখন মুনিয়া মৃত্যু তদন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের আগে, কি হয়েছে তা ভালো করে জানা বোঝার আগেই নুসরাত আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করতে গুলশান থানায় বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে গেলেন কেন? প্রশ্ন উঠেছে, এই মামলা দ্রুত করার জন্য কি নুসরাতের ওপর চাপ ছিল? এবিষয়ে অনুসন্ধান করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, মুনিয়ার মৃত্যুর খবর নুসরাত প্রথমেই ফোনে জানান শারুনকে। এরপর শারুনের নির্দেশেই নুসরাত একের পর এক সব কিছু করতে থাকেন। নুসরাত গুলশানের ১২০ নম্বর বাসা থেকে যখন থানায় জানান, তখন শারুনের লোকজন তার সঙ্গে ছিল। এই মামলা যে শারুনের প্ররোচনায় নুসরাত করেছেন এ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য এখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আছে। বিশেষ করে মুনিয়ার মৃত্যুর পর বার বার শারুনের সঙ্গে নুসরাতের টেলি আলাপ এবং টেক্সট বিনিময় থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মোটামুটি নিশ্চিত যে, এই মামলা করার পেছনে অন্যতম মদদদাতা শারুন।

শারুন তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ আক্রোশ থেকে এই মামলা করতে নুসরাতকে প্ররোচিত করেন। মামলা করলে নুসরাতকে প্রচুর টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন শারুন। টাকার লোভেই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন নুসরাত। মুনিয়ার মৃত্যুর পরপরই মামলা করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন।

অপরাধবিজ্ঞানীরা বলেন, অপরাধীরা সব সময় অপরাধের একটি ক্লু রেখে যায়। পোস্টমর্টেমের আগেই মামলা হলো নুসরাতের অপরাধের ক্লু। নুসরাত মামলার পর যখন শারুনের নাম সামনে আসে তখন পিছিয়ে পড়েন তিনি। এমনিতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই, এর মধ্যে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার দাবি বেশ জোরেশোরে উঠেছে। ফলে শারুন এখন নুসরাতের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছে। নুসরাতকে যে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শারুন তাও দেয়নি।

এ অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন নুসরাত। কয়েকজনকে মামলা নিয়ে অনাগ্রহের কথাও বলেছেন। এর মধ্যে নুসরাতকে মামলা চালিয়ে যেতে নতুন প্ররোচনাকারী হিসেবে এসেছে আশিয়ান সিটির নজরুল ইসলাম। নজরুলের বিরুদ্ধেও প্রতারণা এবং জালিয়াতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এখন নুসরাতের নতুন ‘গডফাদার’ হিসেবে সামনে এসেছে নজরুল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর একজন সদস্য বলেছেন ‘এই মামলায় মেরিট কিছু নেই। এখন নজরুলই এই মামলা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মহলে দেনদরবার করছেন। নজরুলই এখন নুসরাতকে টাকা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads