• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
শারুনের নির্দেশেই চলছেন নুসরাত

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

শারুনের নির্দেশেই চলছেন নুসরাত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ জুন ২০২১

এখন যেন তারা একই বৃন্তে দুই ফুল। প্রতিদিন প্রায় সব সময় তাদের মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে। শারুন যা বলছেন সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন নুসরাত। একাধিক অনুসন্ধানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মুনিয়ার মৃত্যুর পর নুসরাতই যেন শারুনের ছায়াসঙ্গী। সার্বক্ষণিকভাবে শারুন নুসরাতকে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং কি করতে হবে না হবে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিচ্ছেন। আর এসব নির্দেশনা প্রতিপালনের বিনিময় নুসরাত পাচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, মুনিয়ার ইস্যুটিকে চাঙ্গা রাখতে এবং এটিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করতে শারুন এখন নুসরাতকে ব্যবহার করছে। এ জন্য দেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মারা যান মুনিয়া। মুনিয়ার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্রগুলো বলছে, তারা এ ব্যাপারে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এই তদন্তের বাইরে দেখা যাচ্ছে যে, মুনিয়ার মৃত্যুর পর যেকোনো ভাবে কাউকে ফাঁসানোর জন্য শারুন নুসরাতকে ব্যবহার করছেন। আর এজন্য নুসরাতও এ ব্যাপারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন প্রেস কনফারেন্সে যাওয়া, বিভিন্ন বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত বিদেশি অনলাইন টেলিভিশনে টক শোতে অংশগ্রহণ করাসহ যা কিছু করছেন সবই করছেন শারুনের অর্থে এবং শারুনের নির্দেশনায়। নুসরাত বুঝতে পেরেছেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত মুনিয়া ইস্যুটি জীবিত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার অর্থের অভাব হবে না।

শারুন তাকে বলেছে যে, যত টাকাই লাগুক না কেন এই মামলাকে চালিয়ে নিতে হবে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই মামলার কোনো মেরিট না পাওয়ার কারণে তারা এই মামলা নিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু শারুন এবং নুসরাত চাচ্ছেন যে কোনো মূল্যে মামলাটিকে জিইয়ে রাখার জন্য। এজন্য তারা এখন তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কথাবার্তা বলা শুরু করেছেন। এর ফলে মুনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ হয়েও হচ্ছে না। কারণ নুসরাতরা এখন বিভিন্ন মহলের কাছে গিয়ে এ নিয়ে দেনদরবার করছেন এবং পরোক্ষভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে হুমকিও দিচ্ছেন। মুনিয়ার মৃত্যুর পরপরই নুসরাত সেখানে আসেন এবং সেই সময়ই তার লিস্ট দেখা যায় যে শারুন তাকে ফোন করেছেন এবং ওই রাতে মামলা করা পর্যন্ত অন্তত দশবার শারুনের সঙ্গে নুসরাতের কথাবার্তা হয়।

বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, মামলার এজাহার কিভাবে লিখতে হবে সেটি শারুনই তাকে ব্রিফ করেছেন এবং শারুনের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা করেছেন। এই মামলার পরপরই এই ইস্যুটি যেন বাজার পায়। এজন্য শারুন তার সঙ্গে বিভিন্ন মিডিয়ার পরিচয় করিয়ে দেন। বিশেষ করে যারা মূলধারার গণমাধ্যমে নেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম সরকারবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদেরকে ব্যবহার করে শারুন এই বিষয়টি নিয়ে একটি ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও সফল না হওয়ার পর নুসরাতকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। কিন্তু সেই সংবাদ সম্মেলনও ভরাডুবি হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরে তথাকথিত একটি মানববন্ধন এই মামলাকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে যায়। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হচ্ছেন না শারুন। শারুন নুসতারকে বলেছেন, যে কোনো মূল্যে এই মামলা চালিয়ে যেতে হবে যত টাকা লাগে। আর তাই এটি সুস্পষ্ট যে মুনিয়ার মৃত্যুর কারণ উদঘাটন নুসরাতের মূল লক্ষ্য নয়, মূল লক্ষ্য হল শারুনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে নিজের আখের গোছানো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads