নরসিংদীতে এক নারী শ্রমিককে (২০) কে মাইক্রোবাসের ভিতরে পালাক্রমে গণধর্ষনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সাথে ব্যবহৃত মাইকোবাসটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরের নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সদর থানার চিনিশপুর পশ্চিম পাড়া বেলতলা এলাকায় এই গনধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতা ওই নারী পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় এক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার গুজাদিয়া এলাকার মোমেন মিয়ার ছেলে বর্তমানে নরসিংদী শহরের বাসাইলের বাসিন্দা মিজান মিয়া আরিয়ান (২০), নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪) ও পলাশ থানার ধানইর চর এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪)।
জানা যায়, নির্যাতিতা ওই নারী শ্রমিকের সাথে মিজানের মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নারী চিনিশপুর পশ্চিম পাড়া বেলতলা এলাকায় মিজানের সাথে দেখা করতে আসে। এসময় মিজান ওই নারী শ্রমিককে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে উঠায়। নারী শ্রমিক মাইক্রোবাসে উঠার সাথে সাথে আগে থেকে মাইক্রোবাসে থাকা মিজানের সহযোগীরা তাকে বেঁধে ফেলে। পরে মাইক্রোবাসের ভেতরেই মিজান ও তাঁর সহযোগীরা ওই শ্রমিককে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পরে প্রযুক্তিগত সহায়তায় নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সাথে ঘটনার সাথে ব্যবহৃত সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাস উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিকালে আদালতে হাজির করা হলে মিজান ও সোহেল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটের কাছে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর বলেন, আমরা গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করি। পরে প্রযুক্তিগত সহায়তায় নরসিংদী শহরের বিভিন্ন স্থান হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো করা হয়েছে।