ঢাকার কেরানীগঞ্জে ট্রাকভর্তি চোরাই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারসহ ৩২ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কেরানীগঞ্জ সার্কেল এর ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৭ জানুয়ারী রাত ৩ টায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন রুহিতপুর বাজারস্থ আলম এন্টারপ্রাইজ নামে এলপিজি গ্যাসের ডিলার অফিস এবং গোডাউনের সামনে থেকে ট্রাকভর্তি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যায় চোরচক্র। ট্রাকে দুই শতাধিক গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। যার অনুমানিক মূল্য উনিশ লক্ষ একাত্তর হাজার টাকা।
এ ঘটনায় হাজী মো বদিউল আলম বাদী হয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় গত ১৮ জানুয়ারী একটি মামলা করেন, মামলা নং ৩৮। এই মামলাটির তদন্তভার এসআই ( নিরস্ত্র ) এম ইমরান হোসাইন এর উপর অর্পন করা হয়।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ( দক্ষিণ ) মো. হুমায়ুন কবিরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দীন কবীর এবং কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়ার নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই চুরির ঘটনায় জড়িত আসামীদের সনাক্তসহ তাদের অবস্থান নির্নয় কের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় টানা ৩ দিন অভিযান পরিচালনা করে হয়। মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন সহ চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। আটক চোরচক্রের সদস্যরা হলেনঃ ১. বুদ্ধিশ্বর বিশ্বাস ( ৫২ ), ২। মোঃ জাহিদ মিয়া ( ৩৭ ), ৩। চাঁন মিয়া বেপারী ( ৫০ )।
এসময় আটক চোরচক্রের তাদের হেফাজত হতে অভ্র মামলার ঘটনায় চুরি যাওয়া ঞঅঞঅ ৪০৭ ট্রাক, যাহার রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্রো ন- ১৫ ৪৯৭৪ এবং উক্ত ট্রাকে থাকা ২১ ( একুশ ) টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার এবং চোরাইকৃত মালামাল অন্যত্র স্থানান্তর এর কাজে ব্যবহৃত অপর আরেকটি ট্রাক যাহার রেজিঃ নম্বর ঢাকা মেট্রো ড ১১-১৭০১ ট্রাকে থাকা চুরি যাওয়া ১৮১ ( একশত একাশি ) টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সহ বাদীর চুরি যাওয়া ট্রাক সহ সকল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, সর্বমোট মূল্য অনুমান ১৯,৭১,৪০০ / ( ঊনিশ লক্ষ একাত্তর হাজার ) টাকা এবং অপর একটি ট্রাক, যাহার মূল্য অনুমান ১২,০০,০০০ / ( বার লক্ষ ) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তাদের সাথে আরো ৩/৪ চোর জড়িত আছে বলে
স্বীরোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
