• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ ও বাণিজ্য

৮৩ লাখ অর্থনৈতিক ইউনিটকে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল ২০১৮

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বর্তমান সরকার দেশের ৮৩ লাখ অর্থনৈতিক ইউনিটকে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছে।

আগামী ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সুস্থ শ্রমিক, নিরাপদ জীবন-নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন’। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবসটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ২০১৩ সালে মর্মান্তিক রানা প্লাজা, তাজরিন, টেম্পাকোসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। 
তিনি বলেন, আইএলও-এর সদস্যভুক্ত সকল দেশে ২৮ এপ্রিল পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালিত হয়ে আসছে। রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশে পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় একটি বিশেষ পরিবর্তন এসেছে। দেশের সকল কল-কারখানা ই-ফাইলিংয়ের আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থায় আধুনিকায়নে সম্প্রতি লেবার ইন্সপেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন লিমা চালু করা হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ কর্মপরিবেশ শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজশাহীতে ৫ একর জমির উপর একটি পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে। এ একাডেমিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সমস্যা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হবে। এ ছাড়া, সরকার নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেরই ৭টি। এটি বাংলাদেশের জন্য গর্ব আর অহঙ্কারের। 
তিনি বলেন, সরকার এ বছর থেকে ১০টি কারখানাকে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার প্রদান করবে। এ ছাড়া, দেশের ২৯টি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৫টি করে শয্যা স্থাপন করা হবে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে সাড়ে ৮ হাজার শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে। ২০১৩ সালে দেশে পোশাক কারখানায় মাত্র ১২০টি ট্রেড ইউনিয়ন ছিল। বর্তমানে সেখানে ৭ শতাধিক ট্রেড ইউনিয়ন কাজ করছে। শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া, শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাভাতা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান ভূঁইয়াসহ মন্ত্রণালয়ের  ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads