• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
এশিয়ার পরবর্তী টাইগার হতে ঢাকার পাশে থাকার আশ্বাস

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম

ছবি : ইন্টারনেট

অর্থ ও বাণিজ্য

বাংলাদেশ সফর শেষে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

এশিয়ার পরবর্তী টাইগার হতে ঢাকার পাশে থাকার আশ্বাস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের উন্নয়ন সক্ষমতা নিয়ে বরাবরই সন্দেহ প্রকাশ করে থাকে বহুজাতিক দাতা সংস্থাগুলো। গত অর্থবছর সরকারের পক্ষ থেকে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধারণা দেওয়া হলেও তা সাড়ে ৬ শতাংশ ছাড়াবে না বলে দাবি করেছিল বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বছর শেষে সরকারের পক্ষ থেকে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দাবি মেনে নিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো। চলতি অর্থবছর সরকারের নির্ধারিত ৭ দশমিক ৮০ শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলে ধারণা দিয়েছে এডিবি। আর এশিয়ার পরবর্তী টাইগারে উন্নীত হতে হলে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশে সপ্তাহব্যাপী সফর শেষে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ঢাকা সফর শেষে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সফলতার প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ সূচকে উন্নতি ও দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের উদ্ভাবনী উন্নয়নের ধারণা থেকে অন্যান্য দেশ শিক্ষা নিতে পারে। প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ থাকলে এশিয়ার পরবর্তী টাইগারে উন্নীত হতে বাংলাদেশের পথে কোনো বাধা থাকবে না। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাংক সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে সংঘাতে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি প্রয়োজন মোকাবেলায় টেকসই অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত করতে বিবৃতিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন শেফার। বাংলাদেশ সফরে এসে তিনি কক্সবাজের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শেফার বলেন, নিজেদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও বাংলাদেশ সরকার প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তাদের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সক্ষম সমন্বয়কের পরিচয় দিয়েছে। এ সহায়তা রোহিঙ্গাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করেছে।

সংস্থাটি ইতোমধ্যেই দুই দফায় সাড়ে সাত কোটি ডলার অনুদানের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে কানাডা সরকার দেবে এক কোটি ৩০ লাখ ডলার। পাঁচ কোটি ডলার রোহিঙ্গাদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ব্যয় হবে। চলমান প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের এ অর্থ ব্যয় করে স্থানীয় জনসাধারণের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক আরো জানায়, গতকাল শেফার ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সংস্থার অর্থায়নে এ কেন্দ্রের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণে উন্নীত করার কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার ছয় দিনের সফরে ঢাকায় আসেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার। সফরকালে তিনি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ছাড়াও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ছাড়াও পরিদর্শন করেন সংস্থার অর্থায়নে চলমান কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প। তিনি জলবায়ুসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। আজ শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করবেন শেফার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads