• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯
জমছেই না বাণিজ্য মেলা

ফাইল ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

জমছেই না বাণিজ্য মেলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ জানুয়ারি ২০২০

বাণিজ্য মেলা শুরুর পর গত শুক্রবার প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল। পরের দিন শনিবারও সরকারি অফিসগুলো বন্ধ ছিল। সে কারণে এই দুদিনের মধ্যে ব্যাপক ক্রেতা সমাগমের আশা করেছিলেন মেলা আয়োজক ও বিক্রেতারা। তবে প্রথম দিনেই (শুক্রবার) বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। গতকাল শনিবারও তেমনটা ভিড় বাড়েনি।

সবমিলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাসব্যাপী ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চার দিন পেরিয়ে গেলেও জমে ওঠেনি।

 ছুটির দিনেও ক্রেতার দেখা পায়নি বিক্রেতারা। গতকাল দুপুরে সরেজমিন মেলায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের আনাগোনা কম। অধিকাংশ স্টলগুলেই নেই ক্রেতা।

এদিকে এখনো মেলা প্রাঙ্গণের একটি বড় অংশে স্টলের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এসব স্টলগুলো তৈরি সম্পন্ন করতে মেলার ভেতরেই চলছে কাজ। এতে মেলার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম সবদিক থেকেই হাতুড়ি, কাঠ, পেরেকের ঠকঠক শব্দ কানে আসছে। এতে বিরক্ত হচ্ছেন মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।

জানা যায়, মেলা উদ্বোধনের (বুধবার) পরে স্টল নিয়েছেন অনেকে। অনেকে সরাসসি বরাদ্দ পেয়েছেন দেরি করেই। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান সবকিছু ঠিকঠাক বুঝে পেলেও নিজেরাই গড়িমসি করছেন ক্রেতা নেই বলে। সবমিলে এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয় ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)।

এদিকে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, এখনো অলিতে-গলিতে পড়ে রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। অনেক স্টল-প্যাভিলিয়নে পুরোদমে চলছে নির্মাণকাজ। আবার অনেকগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। এসব কিছু যেমন সাজানো-গোছানো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সমস্যার কারণ, তেমনি দর্শনার্থীদের চোখেও দৃষ্টিকটু। এদিকে দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিলেও এই অব্যবস্থাপনার দায় নিতে চায় না রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও পিছিয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানের কেউই।

ইরান কার্পেট গ্যালারির বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, এখনো কাজ চলছে। কারণ মালপত্র এখনো পৌঁছায়নি। তবে দু-এক দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

পাশের গয়নার বাহারি পণ্য নিয়ে স্টল সাজিয়েছে লাভলী ফ্যাশন। এই স্টলের মালিক উম্মে সালমা লাভলী বলেন, স্টলের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় তারা এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, শুরুর দিকে বলে মেলা এখনো জমেনি। তবে দিন যত যাবে মেলা তত জমে উঠবে।

এবারসহ ২৫ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। দর্শনার্থীরাও ঘুরতে ও পণ্য কিনতে আসছেন মেলা প্রাঙ্গণে। তবে মেলাজুড়ে প্রতিটি গলিতেই চোখে পড়বে এমন কর্মযজ্ঞ, স্টল-প্যাভিলিয়ন সাজানো গোছানোর নিরন্তর চেষ্টা। এখনো কেন প্রস্তুত নয়- এমন প্রশ্নে তারা বলছেন দেরিতে কাজ বুঝে পাওয়ার কথা। আবার অনেকে বলছেন, হাতবদলে উদ্বোধনের পরেই স্টল কিনেছেন তিনি। 

আজহর হোসেন নামের এক ক্রোকারি দোকানি বলেন, কাল দোকান পেয়েছি, কালই কাজ শুরু হয়েছে। মেলা শুরুর পর কম দামে দোকান পাওয়া যায়। আগে কাজ পেলে আগে কাজ শেষ করতে পারতাম।

প্রতিবছরের মতো এবারো নতুন বছরের প্রথম দিন (গত বুধবার) শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় দিন মেলা ছিল খুব বেশি ফাঁকা ফাঁকা। গতকাল সেই তুলনায় ভিড় কিছুটা বাড়লেও বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে।

যদিও সীমিত বিনোদনকেন্দ্রের এ শহরে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা হয়ে ওঠে রাজধানীবাসীর বিনোদনকেন্দ্র। মেলার শেষ দিকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে ক্রেতা দর্শনাথীদের পদচারণায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। প্রথম ১০ দিনের পর থেকে মেলার ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়বে বলে আশা আয়োজক ও বিক্রেতাদের। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads