• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

ব্যবসার খবর

বিএইচবিএফসি অর্জন করেছে রেকর্ড সাফল্য

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রতন বালো :

 

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) সব ধরনের সূচকে রেকর্ড পরিমাণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের খবরের সাথে একাস্ত সাক্ষাতে এমন মন্তব্য করেছেন বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম। তিনি বলেন, মহামারি করোনাকালে সারা বিশ্বেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনীতি ভাটা পড়লেও সরকারি পর্যায়ে গৃহঋণ প্রদানকারী একমাত্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিএইচবিএফসির চিত্র ভিন্ন।

এ পরিসংখ্যানে তিনি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণ মঞ্জুরি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬১৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬৪ কোটি টাকা বেশি। ঋণ বিতরণ করেছে ৫১৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৯২ কোটি টাকা বেশি। আর মোট ঋণ আদায় হয়েছে ৫৬৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৮১ কোটি টাকা বেশি। করপূর্ব নিট মুনাফা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ১৬৯ কোটি ৫৪ লাখ, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে হয়েছে ২০৩ কোটি টাকা।

এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণ মঞ্জুরি এবং বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫৫০ কোটি এবং ৫০০ কোটি টাকা এবং উক্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন হার ছিল শতকরা ১০০ ভাগ এর ঊর্ধ্বে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ডিসেম্বর ’২১ পর্যন্ত ঋণ মঞ্জুরি হয়েছে ৩২৫ কোটি টাকা, ঋণ বিতরণ ২৬৭ কোটি টাকা এবং ঋণ আদায় ২৮৯ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ৩৮ কোটি, ২৪ কোটি এবং ৩১ কোটি টাকার বেশি। বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরো বলেন, বিএইচবিএফসির সব কর্মকর্তার মেধা আর পরিকল্পনার মাধ্যমে অল্প সময়ে মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির নানা সাফল্য বয়ে এনেছেন। প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা, ঋণ বিতরণ ও আদায়  এবং ঋণ মঞ্জুরিসহ বিভিন্ন সূচকেও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

বিএইচবিএফসির সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রাহকের সুবিধার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ঋণের কিস্তি সোনালী ই- সেবার মাধ্যমে অনলাইনে জমা ব্যবস্থা চালু হয়েছে।  প্রতিষ্ঠানটির ঋণের কিস্তিসহ সব রকম বিক্রয়যোগ্য ফরমের মূল্য ও সরকার নির্ধারিত ফি-এর অর্থ এখন যেকোনো স্থান থেকে তাৎক্ষণিক সোনালী ই-সেবার মাধ্যমে অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া এখন সোনালী ব্যাংকের সোনালী ই-সেবা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে গ্রাহকের নিজ অ্যাকাউন্টের টাকা স্থানান্তর, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে এ জমা সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। জমা পরবর্তীতে জমাকৃত অর্থের তথ্য এবং ঋণ স্থিতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে অটো জেনারেটেড ভাউচার এবং এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহক জানতে পারবেন। ফলে গ্রাহকদের ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ঋণের কিস্তির টাকা দিতে হচ্ছে না।  গ্রাহক ইচ্ছে করলেই  ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে তাদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছেন।  এতে গ্রাহকদের  কেবল সময় ও শ্রম সাশ্রয়ই হচ্ছে একই সঙ্গে তাদের হিসাবেও সচ্ছতা থাকছে। এই প্রযুক্তি চালু করার অন্যতম লক্ষ্য করপোরেশনের সকল সেবা দ্রুততম সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ফলে কপোরেশনের প্রতি গ্রাহক আস্থাও বেড়েছে।

তিনি বলেন, গ্রাহকদের অব্যাহত চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা গৃৃহ নির্মাণে ইসলামী শরিয়ািভত্তিক সুদমুক্ত বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছি। শরিয়াহ্সম্মত সুদমুক্ত মুনাফাভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যবস্থার জনপ্রিয়তার প্রেক্ষিতে করপোরেশন ‘মনজিল’ নামক গৃহ নির্মাণে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি নতুন প্রোডাক্ট চালু করেছি। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি)-এর অর্থায়নে বিএইচবিএফসির ‘রুরাল এন্ড পেরি-আরবান হাউসিং ফাইনান্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। এ প্রকল্পটির আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেট্রো. এলাকার বাইরে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য ইসলামিক শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ ‘মনজিল’ চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে এক ছাদের নিচে বসবাসের জন্য বাড়ি করার স্বপ্ন দেখেন সবাই। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে যখন অদৃশ্য দেয়াল বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন সেই স্বপ্ন পূরণ কঠিন হয়ে পড়ে। এই সবদিক লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের সেবার পরিধি বাড়িয়েছি। এই কার্যক্রম চালু হওয়ার ফলে চাইলেই কাজের মাধ্যমে স্বপ্নের বাস্তবায়ন  সম্ভব। জনগণের দোরগোড়ায় সেবার মান পৌঁছে দিতে সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) এ স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি সমাজে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা দিচ্ছে জানিয়ে গ্রাহকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় এনে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাড়ি নির্মাণ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য ১১টি ঋণ প্রডাক্ট এবং ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ১টি বিনিয়োগ প্রডাক্ট চালু করেছে বিএইচবিএফসি। এক্ষেত্রে জিরো ইক্যুইটি আবাসন ঋণ, নগর বন্ধু, প্রবাস বন্ধু, পল্লীমা, কৃষক আবাসন ঋণ, আবাসন মেরামত, আবাসন উন্নয়ন, ফ্ল্যাট ঋণ, ফ্ল্যাট নিবন্ধন ঋণ, হাউসিং ইকুইপমেন্ট ক্রয় ঋণ, মনজিল বিনিয়োগ প্রডাক্ট এবং সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহ নির্মাণ ও ফ্ল্যাট ঋণ রয়েছে। বিএইচবিএফসির ঋণের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আরো রয়েছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সুবিধা। এখন কাগজপত্র তৈরি করতেও সহায়তা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানের ঋণ এবং বিনিয়োগ প্রডাক্টে কোনো ধরনের লুক্কায়িত মাশুল (চার্জ) নেই।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, বর্তমানে বিএইচবিএফসি সারা দেশে ৬১টি শাখা, ১৪টি রিজিওনাল ও ১০টি জোনাল অফিসের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ, ফ্ল্যাট ও হাউসিং ইকুইপমেন্ট ক্রয় এবং মেরামত ও আবাসন উন্নয়নের জন্য সরল সুদে ঋণ দিয়ে থাকে। গ্রাহকের একটি বাড়ি নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তার শতকরা প্রায় ৮০ শতাংশ (সর্বোচ্চ) ঋণ প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে থাকে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ গ্রাহকের নিজের অর্থায়নেই করতে হয়। এতে একজন গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের মাসিক কিস্তি দেওয়া সহজ হয়। বর্তমানে করপোরেশনের ঋণের আওতায় বাড়ি নির্মাণের এলাকাভিত্তিক অবস্থান এবং আয় বিবেচনায় সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। আর সকল ঋণের জন্য এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময় দেওয়া হয়।

বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরো জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ এবং দেশের অন্যান্য সকল জেলা, উপজেলা ও  গ্রোথ সেন্টারে ৮ শতাংশ। এছাড়া, দেশের কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর জন্য কৃষক আবাসন ঋণের আওতায় ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে থাকে সরকারি মালিকাধীন এই প্রতিষ্ঠান।

তিনি আরো জানান, বিএইচবিএফসি-তে আমি যোগদান করেই ১০০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করি। প্রতিটি সূচকে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়নে কাজ করি। সকল কর্মকর্তা-কর্মচরীদের সামর্থ্য অনুযায়ী টার্গেটও পুনঃনির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি শাখায় পেন্ডিং ঋণ কেইসসমূহের কেইস টু কেইসভিত্তিক কতদিন যাবৎ পেন্ডিং, কি কারণে পেন্ডিং, সে তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো ঋণ কেইস অতিরিক্ত একদিনও যেন পেন্ডিং না থাকে সে বিষয়ে তদারকি জোরদার করা হয়। শাখা ব্যবস্থাপকদের শাখার শীর্ষ ঋণ খেলাপির তালিকা করে প্রত্যেকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ, এসএমএস প্রদান, বিশেষ নোটিস প্রদান ইত্যাদি কার্যাদি নিবিড় তদারকির মাধ্যমে শতভাগ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে গ্রাহকের  খেলাপি ঋণ পরিশোধে তার সামর্থ্য বিবেচনায় এককালীন পরিশোধের সক্ষম না হলে তার সম্মতি এবং প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে এ কাজগুলো করে পৃথকভাবে প্রত্যায়নপত্র পাঠাতে বলেছি। শাখা ব্যবস্থাপকরা তা করেছেন। হেড অফিস থেকেও আমি নিজে, ডিএমডি, মহাব্যবস্থাপক এবং ফাংশনাল বিভাগীয় প্রধানদের নিয়মিতভাবে এ কার্যক্রম নিবিড় তদারকিতে রেখেছি। আমাদের একটি দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। এছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সার্বিক  তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় এবং করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উল্লিখিত অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বিগত অর্থবছরে আমাদের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রার প্রতিটি সূচকে, বিশেষ করে ঋণ মঞ্জুরি, বিতরণ ও আদায়ে বিএইচবিএফসির ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ অর্জন হয়েছে। ভয়াবহ বৈশ্বিক বিপর্যয়ের পরেও এ সাফল্য এসেছে। অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে এ বিভাগের অধীন একটি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ও ১৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে এপিএ ২০২০-২০২১ সম্পাদিত হয়েছিল। এফআইডির মূল্যায়নে বিএইচবিএফসি সর্বোচ্চ ৯২ দশমিক ৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করে। বিএইচবিএফসির ব্যবসায় নির্দেশক অধিকাংশ সূচকে ২০২০-২১ অর্থবছরে এ যাবৎকালের সেরা সাফল্যের পাশাপাশি বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)-তে প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে সকল পর্যায়ে কাজের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি, যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর বর্তমানে ইচ্ছাকৃত বিলম্বের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে জবাবদিহিতা আছে। আমরা আমাদের সিটিজেন চার্টারটি অনেক বেশি তথ্যসমৃদ্ধ করে হালনাগাদ করেছি।

তিনি জানান, আমরা ঋণের সব টাকা এক সাথে দেই না।  সেটি ৪ বা ৫ কিস্তিতে বিতরণ করা হয়। প্রথম কিস্তির টাকা বিতরণের পর যথাযথ বিনিয়োগ আবশ্যক। এক্ষেত্রে, আমাদের প্রকৌশলী সরেজমিনে সাইট পরিদর্শন করে বিনিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রদানকৃত কিস্তির টাকা বিনিয়োগ সম্পন্ন হবার পর পরবর্তী কিস্তির টাকা ছাড়করণ করা হয়। তবে, রেডিমেড ফ্ল্যাট যদি কেউ ক্রয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আমরা ভিজিট করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন পাওয়া গেলে ঋণের সম্পূর্ণ টাকা এক কিস্তিতে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো জানান, করোনার মধ্যেও খেলাপি ঋণ বাড়েনি। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ে প্রত্যেক গ্রাহককে নোটিস করেছি। প্রথমে এসএমএস দিয়েছি মোবাইলে। পাশাপাশি স্পেশাল নোটিস দিয়েছি (লাল রং এর কাগজে)। আমরা জানি রং এর সাইকোলজিক্যাল ইফেক্ট আছে। রেডকে বলা হয় একসাইটিং কালার। এসব নোটিস পেয়ে অনেকেই অফিসে যোগাযোগ করেছেন। আমার কাছেও এসেছেন। বলেছেন, করোনাকালে তো এতো টাকা দেওয়া এখন সম্ভব না। তাদেরকে বলেছি- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের একটা বিশেষ ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা আছে, এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বকেয়া এককালীন পরিশোধ করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট জমা করে ঋণ পুনঃতফসিলেরও সুযোগ আছে। করপোরেশনের ঋণ মঞ্জুরি ও ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা সাম্প্রতিক সময়ে করপোরেশনের খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads