• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’ চলচ্চিত্রের পোস্টার

আনন্দ বিনোদন

অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার

এমন ভিড় দেখেননি কেউ আগে

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল ২০১৮

হলিউডি ছবির প্রচুর দর্শক বাংলাদেশে রয়েছে। সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ছবি মুক্তির আগে টিকেটের জন্য দীর্ঘ লাইন। লাইন এতটাই দীর্ঘ যে, ৮ তলার উপরের টিকেট কাউন্টার থেকে তা রাস্তায় চলে এসেছে। গত শুক্রবার বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে মার্ভেল কমিকসের সব সুপারহিরোদের নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’। এ ছবির টিকেট পেতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সুপারহিরো ভক্তরা।

avengers-infinity_3

এমন ভিড়ে রীতিমতো অবাক বনে গেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি স্টার সিনেপ্লেক্সে ১৪ বছর ধরে কাজ করছি। আমার ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি। কোনো ঈদ নেই, উৎসব নেই অথচ সিনেমার টিকেটের দীর্ঘ লাইন।’

অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের আগের ছবিগুলোর সফলতাই এ ছবির চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। ট্রেলার প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানেও হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বের ভক্তরা। ফলে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি ভিউয়ের রেকর্ড দখল করে নিয়েছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’।

জো রুশো ও অ্যান্থনি রুশো। এই দুই ভাই যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন ছবিটি। পাণ্ডুলিপিও করেছেন তারা। ছবির প্রযোজক ক্লেভিন ফেইগ। ছবির বাজেট ৩০০ মিলিয়ন ডলার। এতে অভিনয় করেছেন ২২ জন সুপারহিরো। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুই ভাই জানিয়েছেন, ২০০৮ থেকে ২০১৮। সময়টা প্রায় দশ বছরের। ‘আয়রন ম্যান’ ছবির মাধ্যমে যে গল্প শুরু হয়েছিল সেটা শেষ হতে যাচ্ছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’ দিয়ে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল ছবিরটির চিত্রায়ণ। টানা দৃশ্য ধারণ করে সেটি শেষ হয় ২০১৭ সালের জুলাইয়ে। স্কটল্যান্ড, হল্যান্ড, আটলান্টার এলাকা এবং নিউইয়র্কের বিভিন্ন লোকেশনে চিত্রায়িত হয়েছে ছবিটি।

ছবিটি ইতোমধ্যেই বাজেটের সমান প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি হতে যাচ্ছে ‘অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি ওয়ার’। 

avengers-infinity_2

আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, হাল্ক, থর, স্পাইডার ম্যান, ব্যাক উইডো, ব্ল্যাক প্যান্থার, গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সির মতো সব সুপারহিরোদের উপস্থিতি রয়েছে এ ছবিতে। এর আগে কোনো ছবিতে সুপারহিরোদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। ফলে ছবিটি নিয়ে দর্শকের এত আগ্রহ।

ছবির গল্পে দেখা যায়, মার্ভেল সুপারহিরোরা যুদ্ধে নামে। তাদের শক্ত প্রতিপক্ষ মার্ভেল কমিকসের অন্যতম সুপারভিলেন থানুস। ৬টি ইনফিনিটি পাথর ছিনিয়ে নিতে পৃথিবীর ওপর হামলা চালায় থানুস। তাকে রুখতেই একসাথে হয় সমস্ত সুপারহিরোরা। খারাপের সঙ্গে যুদ্ধে ভালোর জয়।

বাংলাদেশে এমন লাইন সচরাচর ক্রিকেটের টিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে হলিউডি ছবির এ বিশাল লাইন সত্যি ভাবনা জাগিয়ে দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের। দেশীয় চলচ্চিত্র দর্শকের মন জোগাতে ব্যর্থ হওয়ায় হলিউডি ছবির দিকে ঝুঁকছেন তারা— এমনটাই মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের অনেকে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads